E-Paper

ঝাপসা অতীত, মানসিক হাসপাতালে থমকে এসআইআর

এখানকার আবাসিকদের মধ্যে জেলার বাইরের লোকও আছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।

সঞ্জয় গঙ্গোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৫ ০৮:৪৩
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

মনোরোগ থেকে মুক্তির পথে তাঁরা। কিন্তু গণতন্ত্রের উৎসবে তাঁদের অংশগ্রহণই আটকে রয়েছে নথির অভাবে।

‘পুরুলিয়া মানসিক আরোগ্য নিকেতন’–এর ২৩৬জন আবাসিকের মধ্যে মাত্র ১০ জনের এসআইআর অর্থাৎ ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। ওই ১০জনই পুরুলিয়া শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তবে বর্তমানে তাঁরা আরোগ্য নিকেতনের বাসিন্দা। সেই ঠিকানাতেই রয়েছে তাঁদের ভোটার কার্ড। সেখানকার বাকি আবাসিকদের মধ্যে ৯০জনের পরিচয় এবং ঠিকানা অস্পষ্ট। আর ১৩৬ জনের ঠিকানা থাকলেও পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। বেশ কিছু ক্ষেত্রে যোগাযোগ হলেও তাঁরা কথা বলছেন না।

এখানকার আবাসিকদের মধ্যে জেলার বাইরের লোকও আছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। অনেকেরই অতীত ঝাপসা। ফলে, তাঁদের এসআইআর প্রক্রিয়া কার্যত থমকে। এ দিকে, আগামী ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে এসআইআরের ফর্ম দেওয়া-নেওয়া ও তথ্য আপলোডের কাজ শেষের লক্ষ্য স্থির করেছে কমিশন। ওই মানসিক রোগের হাসপাতালের সুপার চিকিৎসক নীহাররঞ্জন সরকার বলেন, “আমরা কিছু কিছু পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কোনও সহযোগিতা পাইনি। এখানে পুরুষ-মহিলা মিলে ৯০জন রোগীর সঠিক ঠিকানা পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতরে ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিককে জানানো হয়েছে।”

জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘সমস্যা আমাদের নজরে এসেছে। কী ভাবে ওই আবাসিকদের নাম ভোটার তালিকায় তোলা যায় সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ সূত্রের খবর, মানসিক আরোগ্য নিকেতনে ইআরও পদমর্যাদার আধিকারিককে পাঠিয়ে সমস্যা বিশদে খতিয়ে দেখে কী ভাবে মেটানো যায় তার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে কমিশন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

purulia West Bengal SIR Mental Hospital

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy