Advertisement
E-Paper

আসুন মনিরুল, শুনলেন নেতারা

নিহত ব্যক্তি মীরবাঁধ ও লাগোয়া এলাকায় বিজেপি-র সংগঠন বিস্তারে কাজ করছিলেন। সে

অর্ঘ্য ঘোষ

শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৯ ০৫:২১
সমব্যথী: নিহত দলীয় কর্মীর পরিবারকে সমবেদনা জানাতে বিজেপি প্রতিনিধিদল। ছবি: কল্যাণ আচার্য

সমব্যথী: নিহত দলীয় কর্মীর পরিবারকে সমবেদনা জানাতে বিজেপি প্রতিনিধিদল। ছবি: কল্যাণ আচার্য

মীরবাঁধে নিহত দলীয় কর্মী ডালু শেখের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে মনিরুল ইসলামকে গ্রামে আনার দাবি শুনলেন বিজেপি-র রাজ্য নেতারা। সোমবার নিহতের বাড়িতে যায় বিজেপি-র প্রতিনিধিদল। পরে ওই দলের সদস্যেরা হাতিয়া গ্রামে আহত দলীয় কর্মীদের বাড়িতেও যান। প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলের রাজ্য সহ-সভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী, বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, দলের জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল।

নিহত ওই ব্যক্তি মীরবাঁধ ও লাগোয়া এলাকায় বিজেপি-র সংগঠন বিস্তারে কাজ করছিলেন। সেই আক্রোশেই তাঁকে পরিকল্পনা করে শনিবার রাতে খুন করা হয়েছে বলে বিজেপি দাবি করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন জেলা সভাপতিকে জড়িয়ে নিহত বিজেপি কর্মীর বড় ছেলে জসিমউদ্দিন শেখ বলেন, ‘‘আমাকে বাবার মতো সংগঠনের দায়িত্ব দেন। আমি দলের হয়ে কাজ করে দেখাতে চাই।’’ তাঁর কথা শুনে শ্যামাপদবাবু তাঁর নাম মীরবাঁধ বুথ কমিটির সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করেন।

এর পরেই লাভপুরের বিধায়ক মনিরুল ইসলামকে সেই গ্রামে আনার দাবি ওঠে। গ্রামবাসীদের একাংশ বলেন, ‘‘এই সময় মনিরুল ইসলামকে পাশে পেলে আমাদের সংগঠন করতে সুবিধা হবে।’’ ওই কথা শুনে দৃশ্যতই বিব্রত হন জেলা নেতারা। এই সময় সাংসদ সৌমিত্রবাবু বলেন, ‘‘আপনারা কারা কারা মনিরুল ইসলামকে চান হাত তুলুন।’’ স্থানীয় সূত্রে খবর, সেখানে তখন প্রায় ৭০০ গ্রামবাসী হাজির ছিলেন। তাঁদের অধিকাংশই হাত তোলেন। তা দেখে সৌমিত্রবাবু বলেন, ‘‘মানুষের দাবি উপেক্ষা করা যায় না৷ আমরা পরের বার তাঁকে নিয়ে আসব।’’ সেই কথা শুনে জেলা নেতারা দৃশ্যতই বিব্রত হয়ে পড়েন। কারণ ইতিমধ্যেই তাঁদের একাংশই মনিরুল ইসলামের বিজেপি-তে যোগদানের বিরোধিতা করে প্রথম থেকে সুর চড়িয়েছেন। এমনকি মনিরুলকে লাভপুরে মনিরুলনে কাজ করতে দেওয়া হবে না বলেও কয়েক জন হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। সেই মনিরুলকে গ্রামে আনার দাবি ওঠায় তাঁদের অস্বস্তি বাড়ে। পরিস্থিতি সামলাতে এগিয়ে আসেন শ্যামাপদবাবু। তিনি বলেন, ‘‘আমরা এখানে নিহত এক কর্মীর পরিজনদের সঙ্গে কথা বলতে এসেছি। তা নিয়েই এখন কথা হোক। মনিরুল ইসলামের বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দেখছেন।’’

বিশ্বপ্রিয়বাবু বলেন, ‘‘ডালুদা (নিহত কর্মী) আমাদের দলের দীর্ঘদিনের কর্মকর্তা ছিলেন। তৃণমূল ওঁকে টাকা দিয়ে কিনতে চেয়েছিল। না পেরে খুন করল। আমরা দোষী ব্যক্তিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছি।’’ লাভপুর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তরুণ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি, ওই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনও যোগ নেই। রাজনীতিরও কোনও সম্পর্ক নেই। পুলিশ তদন্ত করছে। অচিরেই সত্য সামনে আসবে।’’

BJP Dalu Sheikh Manirul Sheikh
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy