ডেউচা-পাঁচামিতে প্রস্তাবিত কয়লা খনি এলাকায় সামাজিক প্রভাব মূল্যায়ন সমীক্ষার কাজে হাত পড়ল। বুধবার মহম্মদবাজারের হিংলো গ্রাম পঞ্চায়েতের নিশ্চিন্তপুর মৌজায় সমীক্ষা কাজ শুরু করেন খনি গড়ার দায়িত্বে থাকা নোডাল এজেন্সি রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম বা পিডিসিএল নিযুক্ত একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা।
বীরভূমের জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানান, এই ধরনের সমীক্ষার উপর ভিত্তি করেই পুনর্বাসন প্যাকেজ ঠিক হয়। তাই এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূ্র্ণ ধাপ। তবে, কোথাও যাতে সমীক্ষা নিয়ে ভুল বোঝবুঝি না থাকে, তা নিশ্চিত করতে জেলা, ব্লক ও পঞ্চায়েত স্তরে একাধিক বৈঠক হয়েছে।
গত বছরের শেষ ভাগে মহম্মদবাজেরে দেশের বৃহত্তম কয়লা খনি গড়ার একক দায়িত্ব পেয়েছে রাজ্যে সরকার। জানা গিয়েছে ব্লকের ব্লকের ৫টি পঞ্চায়েত ভাঁড়কাটা, হিংলো, সেকেড্ডা, পুরাতনগ্রাম ও ডেউচার ১১টি মৌজায় মাটির নীচেই রয়েছে বিশাল কয়লা ভাণ্ডার। মৌজাগুলি হল হাটগাছা, চাঁদা, পাঁচামি, আলিনগর, মুকদমনগর, সালুগা, কাবিলনগর, নিশ্চিন্তপুর, দেওয়ানগঞ্জ, হরিণশিঙা ও বাহাদুরগঞ্জ। ধাপে ধাপে খনি গড়ার ভাবনা রয়েছে সরকারের। এলাকার মানুষকে কাউকে বঞ্চিত করে নয়, একশো শতাংশ পুনর্বাসন জিয়ে তবেই তবেই কয়লা খনির কাজে হাত দেবে সরকার—এমনই বার্তা জুলাই মাসে এলাকায় এসে দিয়ে গিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব।