—ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েতের ফল প্রকাশের পরে বড়জোড়ায় গণনাকেন্দ্রের অদূরে পড়ে থাকা ব্যালট পেপার উদ্ধার করে সরাসরি কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিল সিপিএম। সেই মামলায় বুধবার হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহ বাঁকুড়া সদরের মহকুমাশাসক সুশান্তকুমার ভক্ত, বড়জোড়ার বিডিও সুরজিৎ পন্ডিত ও এক প্রিসাইডিং অফিসারকে তলব করেছেন। আর এই নির্দেশের ঠিক একদিন আগেই বড়জোড়ার বিডিওর বদলির নির্দেশিকা জারি হওয়ায় প্রশাসনিক মহলে গুঞ্জন দানা বেঁধেছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাজ্যের তরফে জারি করা ওই নির্দেশিকায় বড়জোড়ার বিডিও ছাড়াও সোনামুখীর বিডিও দেবলীনা সর্দার ও রানিবাঁধের বিডিও কৌশিককুমার মাইতিকেও বদলি কর হয়েছে। ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের আগে এক লপ্তে তিন বিডিও-র বদলির নির্দেশ ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে সোনামুখীর বিডিও দু’বছরের বেশি ওই ব্লকে দায়িত্বে থাকায় তাঁর বদলি ছিল সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু বড়জোড়া ও রানিবাঁধের বিডিওর মেয়াদ এখনও ফুরোয়নি।
বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাননি প্রশাসনিক কর্তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা প্রশাসনের এক কর্তা শুধু বলেন, “রানিবাঁধের বিডিওর বদলির নির্দেশ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই জারি হয়েছিল। তবে তিনি যেতে পারেননি।”
সিপিএমের বেলিয়াতোড় এরিয়া কমিটির সম্পাদক তথা বড়জোড়ার প্রাক্তন বিধায়ক সুজিত চক্রবর্তী মনে করিয়ে দেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে গণনাকেন্দ্র বড়জোড়া উচ্চবিদ্যালয় সংলগ্ন জঙ্গলে জেলা পরিষদের ৩৫ নম্বর আসনের ২৪৮টি ব্যালট পেপার উদ্ধার হয়। সেগুলিতে সিপিএমের প্রতীকে ভোট পড়েছিল বলে দাবি। সেই ব্যালট পেপার উদ্ধার করে হাই কোর্টে পুনর্নিবাচনের দাবিতে মামলা করে ৩৫ নম্বর জেলা পরিষদ আসনের সিপিএম প্রার্থী শ্যামলী রায়। বিষয়টি বিচারাধীন। তবে সুজিতের অনুমান, বড়জোড়ায় বিডিও বদলের পিছনে এই ঘটনার প্রভাব থাকতে পারে।
যদিও বড়জোড়ার তৃণমূল বিধায়ক অলক মুখোপাধ্যের দাবি, “রুটিন মাফিক বদলি হচ্ছেন বিডিও।” আর বড়জোড়ার বিডিও নিজে বলছেন, “বদলির নির্দেশ পেয়েছি। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী নির্দিষ্ট দিনেউপস্থিতও থাকব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy