Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

প্রতিভার বিকাশে খেলাধুলোর পাঠ বিশ্বভারতীতে

পড়ুয়াদের মধ্যে খেলায় আগ্রহ বাড়াতে এবং প্রতিযোগিতার মনোভাব গড়ে তুলতে উদ্যোগী হল বিশ্বভারতী। প্রতিষ্ঠানের আওতাভুক্ত ৫৬টি গ্রামের মধ্যে প্রাথমিক ভাবে ৩০টি গ্রামকে বেছে নিয়েছে তারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৬ ০১:১১
Share: Save:

পড়ুয়াদের মধ্যে খেলায় আগ্রহ বাড়াতে এবং প্রতিযোগিতার মনোভাব গড়ে তুলতে উদ্যোগী হল বিশ্বভারতী। প্রতিষ্ঠানের আওতাভুক্ত ৫৬টি গ্রামের মধ্যে প্রাথমিক ভাবে ৩০টি গ্রামকে বেছে নিয়েছে তারা। সেই গ্রামের পড়ুয়াদের ক্রীড়া বিষয়ক সার্বিক উন্নয়নের জন্য এমনই সুযোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছে বিশ্বভারতী।

শ্রীনিকেতনের অধিকর্তা সবুজকলি সেন বলেন, “গ্রামের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বহু প্রতিভা রয়েছে। কিন্তু তারা সেই প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পায় না। পড়ুয়াদের সেই সুপ্ত প্রতিভার বিকাশের লক্ষে এই উদ্যোগ। বিভিন্ন খেলার প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা মনোভাব গড়ে তুলবে বিশ্বভারতী।”

বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, বিনয়ভবনের শারীর শিক্ষা বিভাগের পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত থাকায় স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়ারা প্রতি রবিবার বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন পড়ুয়াদের। পড়ুয়াদের মধ্যে কম বেশি আগ্রহ দেখা দিলেও, সেই অর্থে ধারাবাহিক প্রশিক্ষণ এবং অভ্যাসের জন্য উপকরণের অভাব ছিল এতদিন। হকির জাদুকর ধ্যানচাঁদের জন্মদিন উপলক্ষে ফি বছর ২৯ অগস্ট ভারত সরকারের নির্দেশে জাতীয় ক্রীড়া দিবস পালন হয়েছে দেশ জুড়ে। একই ভাবে সোমবার বিশ্বভারতীতেও পালন হয়েছে। ওই অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিশ্বভারতীর বিনয়ভবনে আয়োজন ছিল নানা প্রতিযোগিতার। ওই অনুষ্ঠানে গ্রামীণ পড়ুয়াদের জন্য এমন সুযোগের কথা ঘোষণা করে বিশ্বভারতী।

ওই অনুষ্ঠানে বিশ্বভারতীর আওতাভুক্ত ৫৬টি গ্রামের মধ্যে রায়পুর, সুপুর, নুরপুর, মহুলারা, পারুলডাঙা-সহ একাধিক গ্রামের পড়ুয়া ও প্রতিনিধি হাজির ছিলেন অনুষ্ঠানে। সেখানেই উদ্যোক্তারা ব্যাডমিন্টনে পুসারলা বেঙ্কট সিন্ধু, কুস্তিতে সাক্ষী মালিক ও জিমন্যাস্টিক ইভেন্টে দীপা কর্মকারের পদক জয়ের কথা তুলে ধরেন। বিশ্বভারতীর শারীর শিক্ষা বিভাগের প্রধান সমীরণ মণ্ডল বলেন, “গ্রামের পড়ুয়াদের মধ্যে ব্যাডমিন্টন, ফুটবল, ক্রিকেট, সাঁতার, ভলিবল, বাস্কেটবল, টেনিসের মতো খেলায় আগ্রহ বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ আমরা দিচ্ছি। তাছাড়াও ইউনেস্কোর নির্দেশে গ্রামে গ্রামে পড়ুয়াদের মধ্যে আনন্দদায়ক খেলা ইতিমধ্যেই শেখানোর কাজ চলছে।” তাঁর দাবি, গ্রামের পড়ুয়াদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে ২০২০-তে জেলা স্তরের, ২০২৪ রাজ্য স্তরের এবং ২০২৮ জাতীয় তথা আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগী করার লক্ষ্যে উদ্যোগ নিচ্ছে বিশ্বভারতী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sports lesson Visva Bharati University
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE