Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Unknown Fever

Super Speciality Hospital: অসুস্থ শিশু রঘুনাথপুরেও

হাসপাতাল সূত্রের খবর, শনিবার রঘুনাথপুর হাসপাতালের শিশুবিভাগে জ্বর ও সর্দি-কাশির উপসর্গ নিয়ে ভর্তি ছিল ৬২ জন শিশু।

হাসপাতালে অসুস্থদের খোঁজ নিতে গেলেন বিধায়ক। নিজস্ব চিত্র

হাসপাতালে অসুস্থদের খোঁজ নিতে গেলেন বিধায়ক। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
রঘুনাথপুর শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:৪০
Share: Save:

পুরুলিয়া মেডিক্যালে জ্বরে আক্রান্ত কিছু শিশু ভর্তি হওয়ায় সজাগ স্বাস্থ্য দফতর। এরই মধ্যে রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেও জ্বরে আক্রান্ত শিশুর সংখ্য বাড়তে থাকায় নতুন করে দুর্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রের খবর, শনিবার রঘুনাথপুর হাসপাতালের শিশুবিভাগে জ্বর ও সর্দি-কাশির উপসর্গ নিয়ে ভর্তি ছিল ৬২ জন শিশু। রবিবার সে সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮৬। এক দিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ২৪টি শিশু। সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে শিশু বিভাগে শয্যার সংখ্যা ৪৫টি। এর ফলে একটি শয্যায় একাধিক শিশুকে ভর্তি করতে বাধ্য হচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ বন্ধ থাকা কোভিড ওয়ার্ডে জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের ভর্তি করার ব্যবস্থা করছেন। এ দিন হাসপাতালে গিয়েছিলেন রঘুনাথপুরের বিজেপির বিধায়ক বিবেকানন্দ বাউড়ি। তিনি বলেন, ‘‘শিশু বিভাগে এক শয্যায় দুই-তিন জন শিশু ভর্তি আছে দেখেছি। ওই ওয়ার্ডে শিশুদের অভিভাবকদের ভিড়ও বেশি ছিল।’’ ভিড় বাড়ায় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের বন্ধ থাকা কোভিড ইউনিট জীবণুনাশক দিয়ে পরিশোধন করে সেখানে শিশুদের রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সূত্রের খবর, মাস দুয়েক হল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে কোনও করোনা রোগী ভর্তি হয়নি। ওই ওয়ার্ডে ৩০টি শয্যা আছে। সেগুলিতেই জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের ভর্তি করানো হচ্ছে। পুরুলিয়ার জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অনিলকুমার দত্ত বলেন, ‘‘শনিবার রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেছি। শিশুদের ভর্তির ক্ষেত্রে পরিকাঠোমাগত সমস্যা নেই। বন্ধ থাকা কোভিড ইউনিটে শিশুদের ভর্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”

হাসপাতাল সূত্রের খবর, গত এক সপ্তাহ ধরে জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হয়ে শিশুরা ভর্তি হচ্ছে রঘুনাথপুর হাসপাতালে। সংখ্যাটা ক্রমশই বাড়ছে। তবে কোনও শিশুই করোনায় আক্রান্ত নয় বলে দাবি করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, আক্রান্ত শিশুদের সবার করোনার পরীক্ষা করানো হয়েছে। সবার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।

সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ পার্থসারথী পালের দাবি, ‘‘মূলত ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শিশুরা। কিছু ক্ষেত্রে শিশুদের শ্বাসকষ্ট দেখা দিচ্ছে। তবে মোটের উপরে সাত-দশ দিন চিকিৎসার পরে অনেকটাই সুস্থ হয়ে তারা বাড়ি ফিরছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE