—প্রতীকী চিত্র।
পাথর ব্যবসায়ী খুনের ঘটনার পর দু’দিন কাটলেও এখনও গ্রেফতার হয়নি কেউ। পুলিশ সূত্রে খবর, ব্যবসায়ীর সঙ্গে ক’জন ছিলেন তা নিয়ে নিশ্চিত হতে নজর ক্যামেরার ফুটেজ দেখে খুনের তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। মৃতের পরিজনেরা জানান, ঘটনায় দোষী কবে গ্রেফতার হবে সেই দিকেই তাকিয়ে আছেন তাঁরা।
শুক্রবার সকালে মহম্মদবাজার থানার হিংলো পঞ্চায়েতের সারেন্ডা থেকে চন্দ্রপুর যাওয়ার রাস্তায় উদ্ধার হয় পাথর ব্যবসায়ী সুজয় মণ্ডলের গুলিবিদ্ধি দেহ। তারপর থেকে দু’দিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। পরিবারের পক্ষ থেকে সুজয়ের সঙ্গী এক পাথর ব্যবসায়ীর নামে লিখিত অভিযোগও করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ওই অভিযুক্ত। ওই ব্যবসায়ীর ফোন পেয়ে তাঁর সঙ্গেই সুজয় বেরিয়েছিলেন বলে পরিবারের অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার পর থেকেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তের খোঁজেও বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। অভিযুক্তের আত্মীয়-স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি এলাকায় নজরদারিও চালানো হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে খুনের ঘটনা ঘটতে পারে। তাই সুজয়ের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর আগেও ওই এলাকায় আরও দু’জন পাথর ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনা ঘটেছিল।
মৃত সুজয়ের পরিবার সূত্রে খবর, ওই রাতে নিজের মাসির বাড়ি থেকে গাড়িতে আসছিলেন সুজয়। তাঁর সঙ্গী ছিলেন ওই অভিযুক্ত ব্যবসায়ী। গাড়িতে তাঁরা দু’জনেই ছিলেন, নাকি রাস্তায় গাড়িতে আরও কেউ উঠেছিল তা নিশ্চিত হতে চাইছে পুলিশ। সে কারণেই মল্লারপুর থানার গদাধরপুরের নান্দরা গ্রামের মাসির বাড়ি থেকে আসার পথে রাস্তার প্রতিটি মোড়ে থাকা নজর ক্যামেরার ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। অভিযুক্তের মোবাইলের অবস্থানও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে দাবি।
মৃত সুজয়ের বাবা শৈলেন মণ্ডল বলেন, “আমার চাই পুলিশ তাড়াতাড়ি আমার ছেলের হত্যাকারীকে গ্রেফতার করুক। এই এলাকায় যাতে দ্বিতীয় বার এমন ঘটনা না ঘটে সে দিকে নজর দিক পুলিশ।’’ জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, খুনের তদন্ত চলছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘মহম্মদবাজারে এর আগের ঘটনায় যেমন দোষীরা ধরা পরেছে, তেমনই এই ঘটনায় যুক্ত দোষীরাও ধরা পরবে। শুধু একটু সময়ের অপেক্ষা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy