Advertisement
E-Paper

চুরি-ডাকাতি ঠেকাতে শান্তিনিকেতনে ফাঁকা বাড়িতে নজরদারি পুলিশের

কখনও ফাঁকা বাড়িতে চুরি, কখনও বাড়িতে একা বৃদ্ধাকে পেয়ে গলায় ছুরি ঠেকিয়ে ছিনতাই— শান্তিনিকেতনের বিভিন্ন অংশে একের পর এক ঘটেছে এ সব ঘটনা। স্বাভাবিক ভাবেই পর্যটন শহর শান্তিনিকেতনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৮ ০৭:০০
প্রচার: বোলপুরে। নিজস্ব চিত্র

প্রচার: বোলপুরে। নিজস্ব চিত্র

কখনও ফাঁকা বাড়িতে চুরি, কখনও বাড়িতে একা বৃদ্ধাকে পেয়ে গলায় ছুরি ঠেকিয়ে ছিনতাই— শান্তিনিকেতনের বিভিন্ন অংশে একের পর এক ঘটেছে এ সব ঘটনা। স্বাভাবিক ভাবেই পর্যটন শহর শান্তিনিকেতনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল।

এ বার ওই সব এলাকায় বিশেষ ভাবে নজর দিতে শুরু করল বীরভূম জেলা পুলিশ। ২৪ ঘন্টা টহলদারির সঙ্গে কয়েকটি বাড়িতে রাঙামাটি হেল্পলাইনের নম্বর লেখা পোস্টার আটকানো শুরু হয়েছে। জেলা পুলিশের উদ্যোগে রাঙামাটি হেল্পলাইন বিষয়টি তদারকির কাজ করছে।

ঠিক কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?

পুলিশ জানায়, শান্তিনিকেতনের সমস্ত পল্লিকে তিনটি ভাগ করা হয়েছে। একটিতে রয়েছে পূর্বপল্লি, রতনপল্লি, সুভাষপল্লি, দিগন্তপল্লি, অবনপল্লি। অন্যটিতে গুরুপল্লি, সীমান্তপল্লি, পিয়ারসনপল্লি, ইন্দিরাপল্লি। আরেকটিতে রয়েছে অ্যান্ড্রুজপল্লি, বালিপাড়া এবং রথীন্দ্রপল্লি। এই তিনটি ভাগেই প্রতি দিন দিনের দু’টি সময়ে সাইকেল নিয়ে টহল দিচ্ছেন জেলা পুলিশের কর্মীরা। সকাল ৭টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত এবং দুপুর ২টো থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত যে কোনও সময়, যে কোনও জায়গায় টহল দিচ্ছেন তাঁরা। মালিক না থাকা বাড়িগুলির কেয়ারটেকারের সঙ্গে কথা বলছেন। গত ৬ নভেম্বর থেকে রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত হুটার বাজিয়ে টহল দিচ্ছে পুলিশের দু’টি মোটরবাইক। মোট চার জন পুলিশকর্মী থাকছেন সেই সময়।

অক্টোবর মাসে দিগন্তপল্লির ওই ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। শুরু হয় তথ্য সংগ্রহের কাজ। পুলিশ সূত্রে খবর, রাঙামাটি হেল্পলাইনের মাধ্যমে এই সব এলাকাগুলিতে প্রাথমিক ভাবে ১৬০টি এমন বাড়ি পাওয়া গিয়েছে যেখানে বাড়ির মালিক থাকেন না কিংবা খুব কম সময় থাকেন। বেশির ভাগটাই দেখেন নিয়োগ করা কেয়ারটেকার। সেই সব বাড়িগুলি চিহ্নিত করে একটি তালিকা বানানো হয়েছে। লেখা হয়েছে কেয়ারটেকারের নাম ও ফোন নম্বর। যে কোনও সমস্যায় হেল্পলাইনের নম্বরে ফোন করার কথা বলা হয়েছে। এর পর ওই বাড়িগুলিতেই রাঙামাটি হেল্পলাইনের নম্বর থাকা পোস্টার লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। জেলা পুলিশের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার সকলেই।

এ প্রসঙ্গে জেলার পুলিশ সুপার কুণাল আগরওয়াল বলেন, ‘‘পুলিশ এই পোস্টারগুলি শান্তিনিকেতনের বিভিন্ন অংশে আটকাচ্ছে এলাকার বয়স্ক মানুষদের নিরাপত্তার জন্য। ওই এলাকায় সাইকেল এবং মোটরসাইকেল নিয়ে বিশেষ টহলদারির কাজও শুরু হয়েছে।’’

Shantiniketan Police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy