Advertisement
E-Paper

ফি বাড়ানোর প্রতিবাদ, ‘হামলা’

কলেজ কর্তৃপক্ষ চতুর্থ সেমেস্টারে অতিরিক্ত ফি আদায় করেছে, এই অভিযোগ তুলে আগেই সরব হয়েছিল কলেজের ডিএসওর ছাত্র ইউনিট। শুক্রবার কলেজের অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে অতিরিক্ত ফি প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছিল তারা। তার পরে সোমবার কলেজে অধ্যক্ষকে ঘেরাও-এর কর্মসূচি নিয়েছিল ছাত্র সংগঠনটি।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৫:৫৪
বিক্ষোভ: কাশীপুরে পথ অবরোধ। নিজস্ব চিত্র

বিক্ষোভ: কাশীপুরে পথ অবরোধ। নিজস্ব চিত্র

কলেজের ফি বাড়ানোর প্রতিবাদে এসইউসির ছাত্র সংগঠন, ডিএসও-এর বিক্ষোভে উত্তেজনা ছড়াল। সোমবার কাশীপুর মাইকেল মধুসূদন কলেজ ও লাগোয়া এলাকার ঘটনা। বিক্ষোভ চলাকালীন বহিরাগত তৃণমূলের লোকজন কলেজে ঢুকে তাদের কর্মী-সমর্থকদের মারধর করেছে বলে অভিযোগ করে ডিএসও। ঘটনার পরে রাজবাড়ি মোড় ও হাটতলায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখায় সংগঠনের সদস্যেরা। এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ, মঙ্গলবার জেলার সমস্ত কলেজে ধিক্কার দিবসের ডাক দিয়েছে ডিএসও-র পুরুলিয়া জেলা কমিটি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। কলেজ কর্তৃপক্ষেরও দাবি, কোনও অতিরিক্ত ফি নেওয়া হচ্ছে না।

কলেজ কর্তৃপক্ষ চতুর্থ সেমেস্টারে অতিরিক্ত ফি আদায় করেছে, এই অভিযোগ তুলে আগেই সরব হয়েছিল কলেজের ডিএসওর ছাত্র ইউনিট। শুক্রবার কলেজের অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে অতিরিক্ত ফি প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছিল তারা। তার পরে সোমবার কলেজে অধ্যক্ষকে ঘেরাও-এর কর্মসূচি নিয়েছিল ছাত্র সংগঠনটি।

এ দিন সকালে ঘেরাও-এর কর্মসূচি শুরুর কিছু পরেই তৃণমূলের বহিরাগত লোকজন পড়ুয়াদের উপরে হামলা চালায় বলে অভিযোগ ডিএসও-র। সংগঠনের জেলা কমিটির দুই সদস্য অভিজিৎ মাহাতো ও উমেশ মাহাতো বহিরাগতদের হাতে আক্রান্ত হয় বলেও অভিযোগ। সংগঠনের জেলা সম্পাদক বিকাশ কুমার বলেন,‘‘প্রথমে আমাদের ইউনিট অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি দিয়ে ফি কমানোর দাবি জানিয়েছিল। তার পরেও কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় এ দিন আমরা সংগঠনের তরফে অধ্যক্ষকে ঘেরাও-এর কর্মসূচি নিয়েছিলাম। কলেজের দুই প্রাক্তন ছাত্র তথা জেলা কমিটির সদস্য অভিজিৎ ও উমেশ সেখানে ছিল। তাঁদের মারধর করা হয়।” আহতদের কল্লোলী গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছে বলে জানান বিকাশ। সংগঠনের জেলার সভাপতি স্বদেশপ্রিয় মাহাতোও জানান, জেলার অন্য কলেজের চেয়ে এই কলেজের ফি কিছুটা বেশি।

যদিও অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগ মানতে চাননি কলেজ কর্তৃপক্ষ। অধ্যক্ষ বিভাসকান্তি মণ্ডল বলেন,‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইডলাইন অনুযায়ী কলেজগুলি ফি-র কাঠামো স্থির করে। আমরাও তা করেছি। জেলার অন্য কলেজগুলির মতো এখানেও একই হারে ফি নেওয়া হয়।” ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিদের বিষয়টি বোঝানোও হয়েছে বলে জানান তিনি। কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি স্বপন বেলথরিয়াও জানান, ওই ছাত্র সংগঠনটি ফি বাড়ানোর যে অভিযোগ তুলছে, তা ভিত্তিহীন। কলেজে তিন বছরে কোনও ফি বাড়েনি। কলেজে বহিরাগতদের হামলার বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘‘এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি।’’

Student Agitation Protest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy