Advertisement
E-Paper

হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার নবম শ্রেণির ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ, উত্তেজনা পুরুলিয়ায়! প্রশ্নের মুখে স্কুল কর্তৃপক্ষ

স্থানীয় সূত্রে খবর, কেন্দা থানা এলাকার ওই স্কুলের হস্টেলের ১২ নম্বর ঘর থেকে রবিবার রাতে শম্ভু কুম্ভকার নামে এক পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, গত শনিবার ওই স্কুলের এক শিক্ষক মারধর করেন শম্ভুকে!

Student\\\\\\\'s body recovered from school hostel room in Purulia

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৫ ১৭:৩৬
Share
Save

স্কুলের হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার এক পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল পুরুলিয়ার কেন্দা থানা এলাকায়। সোমবার সকাল থেকে ওই স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান মৃত পড়ুয়ার পরিবারের সদস্যেরা। ছিলেন অন্য অন্য অভিভাবক এবং স্থানীয়েরাও। পড়ুয়ামৃত্যুর ঘটনায় ওই স্কুলের সম্পাদক-সহ দু’জনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

স্থানীয় সূত্রে খবর, কেন্দা থানা এলাকার রামকৃষ্ণ সারদা মন্দির নামে ওই স্কুলের হস্টেলের ১২ নম্বর ঘর থেকে রবিবার রাতে শম্ভু কুম্ভকার নামে এক পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, গত শনিবার ওই স্কুলের এক শিক্ষক মারধর করেন শম্ভুকে। তাদের অনুমান, সেই কারণে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে ওই ছাত্র! যদিও কী ভাবে শম্ভুর মৃত্যু হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

পরিবারের দাবি, রবিবার রাত ৯টা শম্ভুর দেহ উদ্ধার হয়। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ বা পুলিশ কেউই সেই খবর পরিবারকে জানায়নি। সোমবার সকালে খবর পেয়ে ওই স্কুলে যান মৃতের পরিবারের লোকেরা। স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় কেন্দা থানার পুলিশ। কথা বলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে। বিক্ষোভের মুখে স্কুলের মধ্যেই আটকে পড়েন শিক্ষক-শিক্ষিকা। পরে কোনওক্রমে স্কুল ছেড়ে বার হন তাঁরা।

পড়ুয়ামৃত্যু নিয়ে কেন নীরব স্কুল কর্তৃপক্ষ? প্রশ্ন তুলে পুরুলিয়া-মানবাজার রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। সোমবার বিকেল পর্যন্ত সেই অবরোধ চলে। মৃত ছাত্রের মা নমিতা কুম্ভকার বলেন, “সুস্থ-স্বাভাবিক ছিল শম্ভু। হস্টেলে রেখে পড়াশোনা করাচ্ছিলাম। কিন্তু সেখানেই এই ঘটনা ঘটল। আমরা কিছু শুনতে চাই না। জবাব দিতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষকে।’’ মৃতের কাকিমা জানান, বন্ধুরা জানিয়েছে শনিবার স্কুলের এক শিক্ষক শম্ভুকে মারধর করেন। তার পর কী হয়েছে, জানা নেই। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘কেন স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গোপন করতে চাইছেন?’’ এখনও পর্যন্ত স্কুল কর্তৃপক্ষের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, ওই স্কুলের প্রায় ৬০০ জন পড়ুয়ার মধ্যে ৪০০ জন হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে।

purulia Student Death
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy