ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভ। — ফাইল চিত্র।
দমে যেতে নারাজ বিশ্বভারতীর আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীরা। মঙ্গলবার মধ্যরাতে উপাচার্যের বাংলোর সামনে থাকা অবস্থান মঞ্চ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তারক্ষীদের দিয়ে ভেঙে দেন। এর পরেও নিজেদের অবস্থানে অনড় বিশ্বভারতীর আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। ইতিমধ্যেই অন্যত্র মঞ্চ তৈরি করে তাঁরা আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। আর এতে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের সংঘাত আরও বাড়বে বলে মনে করছেন অনেকেই। প্রসঙ্গত, ২৩ নভেম্বর ১০ ঘণ্টা ঘেরাও থাকার পরে আলোচনা না করে জোর করে ঘেরাও মুক্ত হয়েছে উপাচার্য। এই অভিযোগে ২৪ নভেম্বর থেকে তাঁর বাংলোর থেকে কিছুটা দূরে মঞ্চ বেঁধে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন পড়ুয়াদের একাংশ। সেই আন্দোলনের জেরে ওই দিন থেকে উপাচার্য কার্যত ‘গৃহবন্দি’ হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ বিশ্বভারীত কর্তৃপক্ষের। এই ঘটনা প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে বিশ্বভারতী। বাতিল হয়ে গিয়েছে সমাবর্তনও। এর পরে মঙ্গলবার দুপুরে উপাচার্য তাঁর বাংলো থেকে বের হয়ে কার্যালয়ে যাওয়া-আসার পথে আন্দোলনরত পড়ুয়ারা বাধা দিলে দফায় দফায় সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্বভারতী। সে দিন রাতেই বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিবের আদেশে নিরাপত্তারক্ষীরা অবস্থান মঞ্চটি ভেঙে দেন। ওঠে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও। এ নিয়ে নানা মহলে সমালোচনার ঝড়ও বয়ে গিয়েছে। যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি, বিনা অনুমতিতে মঞ্চটি তৈরি হয়েছিল। দু’পক্ষই এ নিয়ে পুলিশে অভিযোগ করেছে। তবে অবস্থান মঞ্চ ভেঙে দিলেও আন্দোলন থেকে তাঁরা কোনও অবস্থাতেই সরছেন না বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। সে মতো বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয় যাওয়ার রাস্তায়, বলাকা গেটের ঠিক উল্টো দিকে, অবস্থান মঞ্চ তৈরি করে সেখানেই অবস্থানে বসতে চলেছেন আন্দোলনকারীরা। শুক্রবার প্যান্ডেল তৈরির লোক না মেলায় মঞ্চ তৈরি করা না গেলেও, শনিবার থেকে সেখানে মঞ্চ তৈরি করে লাগাতার অবস্থান চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনরত পড়ুয়া সোমনাথ সৌ, মীনাক্ষী ভট্টাচার্য, রিয়ান চৌধুরীরা বলেন, “আন্দোলন থেকে আমরা কোনও ভাবেই সরছি না। আমাদের দাবি না মেনে নেওয়া পর্যন্ত, আমাদের আন্দোলন জারি থাকবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy