E-Paper

শিক্ষারত্নে জেলা থেকে দুই শিক্ষক

দিন কয়েক আগে স্কুল শিক্ষা দফতরের কমিশনারের কাছ থেকে আসা চিঠিতে সুখবর পান ওই দুই শিক্ষক। জানা গিয়েছে, আগামী ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে মোট ৫২ জনকে শিক্ষারত্ন পুরস্কার দেবে রাজ্য।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:০৩
নজরুল ইসলাম (বাঁ দিকে), সুজাতা সাহা (ডান দিকে)।

নজরুল ইসলাম (বাঁ দিকে), সুজাতা সাহা (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।

এ বার শিক্ষারত্ন পুরস্কার পাচ্ছেন জেলার দুই শিক্ষক। প্রথম জন সিউড়ি ১ ব্লকের কড়িধ্যা বিদ্যানিকেতনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সুজাতা সাহা। অন্য জন, ইলামবাজারের মেটেকোণা হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মহম্মদ নজরুল ইসলাম।

দিন কয়েক আগে স্কুল শিক্ষা দফতরের কমিশনারের কাছ থেকে আসা চিঠিতে সুখবর পান ওই দুই শিক্ষক। জানা গিয়েছে, আগামী ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে মোট ৫২ জনকে শিক্ষারত্ন পুরস্কার দেবে রাজ্য। কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানটি হবে কলকাতার ধনধান্য অডিটোরিয়ামে। মুখ্যমন্ত্রী প্রতীকী ভাবে পাঁচ জনকে সম্মানীত করবেন। বাকিরা বিভিন্ন জেলা থেকে জুড়বেন ভার্চুয়ালি। সুজাতা ১৯৯৯ সাল বাংলা শিক্ষিকা হিসেবে ওই স্কুলে যোগ দিয়েছিলেন। পঠনপাঠনে পাশাপাশি, পড়ুয়াদের সাংস্কৃতিক চর্চায় আগ্রহী করতে তাঁর বিশেষ অবদান আছে। সুজাতা নিজে বাচিক শিল্পী। এ ব্যাপারে পড়ুয়াদের সাহায্য করে যাচ্ছেন। অন্য দিকে, গ্রামীণ এলাকার ছেলে-মেয়েদের বিদ্যালয়মুখী করতে এবং কোভিডের পরে তাদের স্কুলে ফেরাতে উল্লেযোগ্য কাজ করেছেন নজরুল।

এই সম্মান প্রাপ্তিতে খুশি উভয়েই। খুশি তাঁদের সহকর্মী ও পরিজনেরা। সুজাতা বলছেন, ‘‘খুব খুশি। আসলে শিক্ষাটা কেবল পুঁথিগত নয়। শিক্ষার এখন দু’টি ভাগ। সামেটিভ ও ফর্মেটিভ। প্রথমটির লেখাপড়া সম্পর্কিত। দ্বিতীয় ভাগে রয়েছে খেলাধুলো ও সংস্কৃতিচর্চা। আমি সংস্কৃতি চর্চা করি। পাঠদানের বাইরে তা শেখাতে পারি। নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা যোগ দেয়।’’

অন্য দিকে, নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘এক জন শিক্ষক হিসেবে এই পুরস্কারের গুরুত্ব অসীম। আমি ১৯৯৩ সাল থেকে শিক্ষকতা করি। ২০০৯ সালে মেটেকোণায় প্রধান শিক্ষক হিসেবে যখন যোগ দিই তখন আমার মাদ্রাসায় পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল শ’পাঁচেক। এখন সেই সংখ্যা প্রায় হাজার। মাদ্রাসায় পড়ুয়ার সংখ্যা তুলনায় কম থাকে। অদূরে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলও আছ। কিন্তু আমার প্রথম লক্ষ্য ছিল পড়ুয়াদের শিক্ষাঙ্গণে টেনে আনা। সহকর্মীদের সহযোগিতায় সেটা আমি করতে পেরেছি।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Suri Mamata Banerjee

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy