স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠেছিল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বোলপুরের সিয়ানের ওই ঘটনায় ন’ মাসের মধ্যেই রায় দিল আদালত। সোমবার অভিযুক্ত মাধব ঘোষকে দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বোলপুরের অতিরিক্ত জেলা জজ সিদ্ধার্থ রায়চৌধুরী।
সরকারি আইনজীবী তপনকুমার দে বলেন, “অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সন্দেহাতীত ভাবে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। শুক্রবারই আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। এ দিন অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারায় বিচারক দোষী মাধম ঘোষকে দশ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং দশ হাজার টাকা জরিমানার সাজা শুনিয়েছেন। অনাদায়ে কারাদণ্ডের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়বে।”
সরকারি আইনজীবী জানান, গত বছর ১৩ অগস্ট সিয়ান এলাকার বাসিন্দা দাবী ঘোষকে মারধর এবং শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ ওঠে তাঁরই স্বামী মাধব ঘোষের বিরুদ্ধে। নিহতের মেয়ে দেবী ঘোষ বোলপুর থানায় ওই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত স্বামী পলাতক ছিলেন। লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮ক এবং ৩০২ ধারায় মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। এক মাস পরে ১৫ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বোলপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। জেল হাজতে থাকাকালীনই মামলার বিচার শুরু হয়। গত ১৯ জানুয়ারি বোলপুর আদালতে ওই ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় চার্জ গঠন হয়। গত ২০ এপ্রিল থেকে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। ১২ মে শেষ হয় সাক্ষ্যদান। ঘটনার তদন্তকারী অফিসার, ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক-সহও দুই জন চিকিৎসক নিয়ে মোট ১১ জনের সাক্ষ্য নেয় আদালত। সরকারি আইনজীবী তপনবাবু বলেন, “সাক্ষ্যদানের সময়ে নিহতের মেয়ে তথা অভিযোগকারী দেবী ঘোষ নিজের বয়ান থেকে বেঁকে বসেন। আদালতে অভিযোগ করেন পুলিশ তাঁর কাছে সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়ে অভিযোগ লিখেছে। আমি কিন্তু তাঁকে বিররূপ সাক্ষী ঘোষণা করিনি। তার পরেও পারিপার্শ্বিক অবস্থা, সাক্ষ্যদান, সওয়াল জবাব, নিহতের ক্ষতচিহ্ন এবং ময়না-তদন্তকারী চিকিৎসকের রিপোর্টে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সন্দেহাতীত ভাবে অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।’’ বিচারক রায়চৌধুরী মাধব ঘোষকে অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেছেন।
বিদ্যুৎ চুরি। লাভপুরের ভালাস গ্রামের একটি বাড়ি থেকে হাতেনাতে বিদ্যুৎ চুরি ধরল পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির একটি বিশেষ দল। সোমবার প্রাক্তন পুলিশ কর্তা তথা অভিযানের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক জসিমুদ্দিন শেখের নেতৃত্বে দলটি আচমকা হানা দেয় ভালাস গ্রামের জীবন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে। জসিমুদ্দিন বলেন, ‘‘ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy