বেলিয়াতোড় স্টেশনে বৃহস্পতিবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
একই দাবিতে, একই জায়গায়, কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তৃণমূলের দুই নেতা দলবল নিয়ে আটকে দিলেন ট্রেন।
বৃহস্পতিবার মোট দু’দফায় বেলিয়াতোড়ে বাঁকুড়া-মশাগ্রাম বিডিআর লাইনে তৃণমূলের ট্রেন আটকে বিক্ষোভ দেখানোয় বিরক্ত অনেক ট্রেনযাত্রী। তাঁদের বক্তব্য, নেতারা নিজেদের ইচ্ছেমতো ট্রেন আটকাবেন। ভুগতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। তবে অনেক জেলা নেতাই ভাল ভাবে নেননি।
তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির প্রতিবাদে বুধবার থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার সঙ্গে বাঁকুড়া জেলাতেও নানা কর্মসূচি নিচ্ছে তৃণমূল। বৃহস্পতিবারও জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ আন্দোলন করে তাঁরা। এ দিন প্রথম দফায় বেলিয়াতোড়ের যুব তৃণমূল নেতা রাজীব ঘোষালের নেতৃত্বে রেল আটকানো হয় দুপুর প্রায় সাড়ে ১২টা নাগাদ। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, মশাগ্রাম থেকে বাঁকুড়ামুখী একটি ট্রেন আটকে পড়ে মিনিট দশেক। দ্বিতীয় দফায় বড়জোড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি কালীদাস মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বেলিয়াতোড়ে ফের বেশ কিছুক্ষণ ট্রেন আটকানো হয়। এ বার আটকে যায় বাঁকুড়া থেকে মশাগ্রামমুখী একটি ট্রেন। একই দাবিতে দু’দফায় ট্রেন আটকানোয় শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ছড়িয়েছে যাত্রীদের মধ্যে। তাঁদের বক্তব্য, নিজেদের দ্বন্দ্বে নেতারা পৃথক ভাবে ট্রেন আটকাবেন। আর ভুগতে হচ্ছে যাত্রীদের।
কেন একই দাবিতে দু’দফায় ট্রেন আটকে সাধারণ মানুষকে সমস্যায় ফেলা হল? বড়জোড়া ব্লক সভাপতি অলক মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “ওখানে প্রতীকি রেল অবরোধ হয়েছিল। তবে দু’বার কেন অবরোধ করা হল, আমি খোঁজ নিয়ে দেখব।”
এ দিন ট্রেন আটকানোর পরে বেলিয়াতোড়ের ডাকবাংলা মোড়ে একটি প্রতিবাদ সভাও করে তৃণমূল। অন্যদিকে, এ দিন সকালে বাঁকুড়ার কলেজ মোড়েও একটি পথসভা করে তৃণমূল। ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অরূপ খাঁ, বাঁকুড়ার পুরপ্রধান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত, জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমূখ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy