পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই মারামারির ঘটনায় অস্বস্তিতে শাসক শিবির। প্রতীকী চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বীরভূম সফর শেষ হওয়ার পরেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে তপ্ত দুবরাজপুর। বালিজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিসের মধ্যেই এক নেতা অভিযোগ করলেন, তাঁকে মারধর করেছে দলেরই একাংশ। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে অন্য পক্ষ। অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে দু’পক্ষ।
দুবরাজপুরের তৃণমূল নেতা অভিজিৎ সৌ মণ্ডল শিল্প এবং পরিকাঠামোর দায়িত্বে রয়েছেন। পাশাপাশি, হলসোত গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য তিনি। তাঁর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার বিকেলে পঞ্চায়েত অফিসে একটি বিষয়ে কথা বলার সময় তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি প্রশান্ত মুখোপাধ্যায় এবং তাঁর ছেলে কুনাল মুখোপাধ্যায় তাঁকে অকারণে কিল, চড়, ঘুষি মারেন। এখানেই শেষ নয়, তাঁকে শ্বাসরোধ করে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয় বলে থানায় অভিযোগ করেছেন তিনি। অন্য দিকে, পাল্টা অভিযোগ করেছেন অভিযুক্তেরাও। এ নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব বলছেন, ‘‘যা ঘটেছে তা মোটেই অভিপ্রেত নয়। আমরা দলের তরফে বিষয়টি দেখছি। এই রকম ঘটনা যাতে না ঘটে তার ব্যবস্থা নিতে হবে।’’
পঞ্চায়েত ভোটের আগে সংগঠনকে আরও মজবুত করতে সব রকম চেষ্টা করছে রাজ্যের শাসকদল। গত বছরের অগস্ট মাস থেকে গরুপাচার মামলায় জেলবন্দি তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তার পর বিভিন্ন সময়ে গোষ্ঠীকোন্দলের খবর পাওয়া গিয়েছে। সম্প্রতি বীরভূমে এসে ৭ সদস্যের কোর কমিটি গড়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের কাজে সংঘবদ্ধ হয়ে ঝাঁপানোর বার্তা দিয়েছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। তার মধ্যে এমন ঘটনায় বেশ অস্বস্তিতে শাসক শিবির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy