সুরেশ অগ্রবালকে তেলেভাজা না খাওয়ার পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নিজস্ব চিত্র
ওজন ১২৫ কেজি। তার উপর ছোটবেলা থেকে সাতসকালে পকোড়া খাওয়ার অভ্যাস! পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার পুরপ্রধান সুরেশ অগ্রবাল সম্পর্কে এই দু’টি তথ্য শুনে আঁতকে উঠেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। প্রশাসনিক বৈঠকেই পুরপ্রধানকে মুখ্যমন্ত্রী বাতলেছিলেন রোগা হওয়ার ‘সহজ’ উপায়। সকালে উঠে পকোড়া খাওয়ার অভ্যাস বন্ধ করতে বলেছিলেন। দিয়েছিলেন স্বাস্থ্যবিধির আরও নানান পরামর্শ। ‘দিদি’র কথা শুনে ছেড়েছেন পকোড়ার পুরনো অভ্যেস।
সোমবার পুরুলিয়া জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে ভিন্ন মেজাজে দেখা যায় মমতাকে। স্থূলকায় সুরেশকে দেখে আচমকা তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে একরাশ প্রশ্ন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সুরেশ প্রাতরাশ সারেন পকোড়া দিয়ে। সে কথা শুনে চমকে ওঠেন মমতা। তেলেভাজা খাওয়া বন্ধ করতে বলেন তিনি। দিদির সেই পরামর্শ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে শুরু করেছেন ঝালদার পুরপ্রধান। সুরেশের কথায়, ‘‘আর পকোড়া খাচ্ছি না। আজ দু’দিন হল। মুখ্যমন্ত্রী নিজে আমার স্বাস্থ্য সম্বন্ধে এত খোঁজ নিয়েছেন। তিনি এত কথা আমাকে বলেছেন। তখন কি আর এর অন্যথা হয়?’’
ছোট থেকে সকালে পকোড়া খাওয়ার অভ্যাস বলে মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন সুরেশ। সেই অভ্যাসে কি ছেদ টানলেন?
সুরেশের উত্তর, ‘‘এখন দেখি কিছু দিন যদি না খেয়ে থাকতে পারি। তা হলে তো ভালই হয়। দেখুন, যখন দিদি বলেছেন তখন আমাকে তো ওঁর কথা মানতেই হবে। তাই শত কষ্টই হোক, প্রিয় খাবারটার দিকে এখন আর হাত বাড়াব না বলেই মনস্থ করেছি। এত লোকের মাঝেও দিদি যে, আমার খোঁজখবর নিয়েছেন এটা ভেবেই আনন্দ হচ্ছে।’’
সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সুরেশের এ হেন কথোপকথন শুনে অনেকেই তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করেছেন। তা শুনে ঝালদার পুরপ্রধান বলছেন, ‘‘দিদি এত বড় এক জন মানুষ। উনি দেশের গর্ব। তিনি যে হাসিমুখে এখান থেকে ফিরে গেলেন এটাই আমার কাছে বড় পাওনা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy