তৃণমূলকর্মীর হাতে মার খেয়ে হাসপাতালে নেতা। — ফাইল ছবি।
কর্মীর হাতে বেধড়ক মার খেলেন নেতা। চোট এতটাই গুরুতর যে নেতাকে ভর্তি করতে হয়েছে হাসপাতালে। তাঁর হিপ জয়েন্ট ভেঙে গিয়েছে। ঘটনা বীরভূমের বোলপুরের। নেতার নাম নরেশ বাউড়ি। তিনি তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক। বর্তমানে দলের শহর সভাপতি। স্ত্রী কাউন্সিলর।
নরেশের বাড়ি বোলপুরের জামবুনি এলাকায়। মঙ্গলবার সকালে নালার সমস্যা নিয়ে প্রাক্তন বিধায়কের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূলেরই কর্মী মানস মণ্ডল এবং তাঁর দাদা তাপস। বীরভূম তৃণমূলে তাপসের পরিচিতি অনুব্রত ঘনিষ্ঠ হিসাবে। অভিযোগ, কথাবার্তা চলাকালীনই নরেশের উপর চড়াও হন ২ ভাই। চলে একতরফা বেধড়ক মার। তাতেই গুরুতর আহত হন নরেশ। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে, নরেশের কোমরের হাড় ভেঙেছে। তাঁকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
পেশায় ঠিকাদার তাপসের ট্রাক নবনির্মিত নালার উপর দিয়ে যাতায়াত করে। অত্যধিক ওজন নিতে পেরে ভেঙে পড়ে নালার একাংশ। এই অবস্থায় নরেশ ট্রাক চলাচলে বাধা দেন। তা থেকেই গোলমালের সূত্রপাত। মঙ্গলবার সকালে এ নিয়েই নরেশের উপর ২ ভাই চড়াও হন বলে অভিযোগ। আহত নরেশকে প্রথমে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জানা যায়, তাঁর কোমরের হাড় ভেঙেছে। তার পরেই নরেশকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে সেখানেই ভর্তি রয়েছে নরেশ। এখনও পর্যন্ত মানস বা তাপসের বিরুদ্ধে কোনও রকম লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। নরেশের দাবি, অস্ত্রোপচারের পর তিনি লিখিত অভিযোগ জানাবেন।
এ দিকে অভিযুক্ত মানসের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর দাদা তথা ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত তাপসের দাবি, গোলমালের কোনও ঘটনা ঘটেনি। পড়ে গিয়ে চোট পেয়েছেন নরেশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy