বাঁ দিকে গত ৩০ মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠকে সুরেশ অগ্রবাল। ডান দিকে ঝালদায় পুরভোটের সময় দলীয় কর্মসূচিতে সুরেশ অগ্রবাল। — নিজস্ব চিত্র।
জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে গিয়ে ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান সুরেশ অগ্রবালকে ভুঁড়ি কমানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিয়েছিলেন প্রাণায়ামের পাঠও। পাশাপাশি সকালে ‘পাকোড়ি’ (পকোড়া) খাওয়াও ছাড়তে বলেছিলেন। তার পর কেটে গিয়েছে প্রায় দেড় মাস। দিদির কথা মতো ব্যায়াম চালিয়ে যাচ্ছেন সুরেশ। তবে স্বীকার করে নিয়েছেন, সকালে পকোড়া খাওয়ার ‘নেশা’ তিনি এখনও পুরোপুরি ছাড়তে পারেননি।
নিজের শরীরচর্চার কথা বলতে গিয়ে সুরেশ বলেন, ‘‘আমি এখন রোজ ব্যায়াম করি।’’ কিন্তু পকোড়া খাওয়া কি ছাড়তে পেরেছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে অবশ্য কিছুটা থমকে গিয়ে ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান বললেন, ‘‘পুরোপুরি ছাড়তে পারিনি। কোনও দিন অল্পস্বল্প খাই। এটা আমাদের পরিবারের একটা অভ্যাস। আসলে রোজ সকালে আমাদের বাড়িতে পকোড়া বানানো হয়। তবে শরীরের কথা চিন্তা করে এখন আর রোজ খাই না। কিন্তু, মাঝে মাঝে খাওয়া হয়ে যায়।’’
গত ৩০ মে পুরুলিয়া জেলার প্রশাসনিক বৈঠক করেন মমতা। সুরেশের ওজন ১২৫ কেজি শুনে বিস্মিত হয়ে যান তিনি। তাঁকে দৈনিক খাবারে কাটছাঁট করার পাশাপাশি ওজন কমানোরও পরামর্শ দেন। মাস দেড়েক পর অবশ্য সুরেশ বলছেন, ‘‘আসলে কাজের চাপে একটু বাইরে ছিলাম। সেই কারণে আর ওজন মাপা হয় ওঠেনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy