জয়ের উল্লাস। সোমবার সিউড়ির কড়িধ্যায় তোলা নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের দু’টি বিবাদমান গোষ্ঠীর লড়াই বরাবরই দেখছে সিউড়ির কড়িধ্যা পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা। সোমবার সাক্ষী থাকল ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর থেকে ক্ষমতা হস্তান্তরিত হওয়ার।
তলবি সভায় উপস্থিত সদস্যদের ভোটাভুটির নিরিখে এ দিনই অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হয়ে গেল কড়িধ্যা পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে। বিবাদমান প্রবীর ধর গোষ্ঠীর কাছে হার মানলেন সদ্য প্রাক্তন প্রধান উজ্জ্বল সিংহ। সোমবার দুপুরে সিউড়ি ১ ব্লকের পঞ্চায়েতে কার্যলয়ে ডাকা তলবি সভায় উপস্থিত নয় সদস্যই প্রধান উজ্জ্বল সিংহের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট দেন। সিউড়ি ১ ব্লকের বিডিও কৌশিক মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমার তরফে যুগ্ম বিডিও মণিমিত্রা মুখোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ভোটাভুটি হয়েছে।’’
প্রসঙ্গত গত ১৫ তারিখ প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে দু’পক্ষের বিবাদের ছবিটা আরও স্পষ্ট করেছিল তৃণমূল। দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে সই করেছিলেন তৃণমূলেরই তিন সদস্য। সঙ্গী ছিলেন বিরোধী বিজেপি ও কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী চার সদস্য। এ দিন তাঁদের সঙ্গে ভোটভুটিতে যোগ দেন সিপিএমের দুই সদস্যও। কড়িধ্যা পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে অনাস্থার ইতিহাস নতুন নয়। গত ১৪ সালের ১৮ অগস্ট একইভাবে বিরোধীদলের সদস্যদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রধান উজ্জ্বল সিংহের বিরুদ্ধে আনাস্থা এনেছিলেন প্রবীর ধর গোষ্ঠী। যদুও সেবার তলবি সভায় পঞ্চায়েত সদস্যরা অনুপস্থিত থাকায় অনাস্থা আনা যায়নি। কিন্তু এ বার সেই ইচ্ছে পূরণ হল। প্রবীরবাবুর বক্তব্য, আগে যিনি প্রধান ছিলেন তিনি তাঁর দায়িত্ব ঠিক মতো পালন করতে পারেননি। উন্নয়ন থমকে ছিল। বরাদ্দ টাকা ফেরত গিয়েছে। সঙ্গে দলবিরোধী কাজ করায় দলের শীর্ষ নেতৃত্বের ইচ্ছেতেই বাধ্য হয়ে অনাস্থা আনতে হয়েছিল।
যদিও ওঁর বিরুদ্ধে আনা একটি অভিযোগও স্বীকার করতে চাননি উজ্ব্বল সিংহ। তাঁর কথায়, অনাস্থা প্রস্তাবের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছিলাম। সোমবারই আদালত সেটাকে মান্যতা দিয়ে, আমাকেই স্বপদে বাহাল থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। বিডিও কৌশিক মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আদালতের এমন নির্দেশ আমার কাছে পৌঁছয়নি। তেমন নির্দেশ এলে সেই মতো পদক্ষেপ নেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy