Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Jhalda Municipality

আবার তৃণমূলের দখলে ঝালদা পুরসভা, কংগ্রেসের তিন ও দুই নির্দল সদস্য যোগ দিলেন শাসক দলে

চলতি বছরের শুরুতেই হাতছাড়া হওয়া ঝালদা পুরসভা আবার কংগ্রেসের থেকে ছিনিয়ে নিল শাসক দল। বুধবার রাতে পুরসভার পাঁচ কাউন্সিলর যোগ দিলেন তৃণমূলে।

—নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
ঝালদা শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:১৬
Share: Save:

চলতি বছরের গোড়াতেই হাতছাড়া হওয়া ঝালদা পুরসভা আবার কংগ্রেসের থেকে ছিনিয়ে নিল শাসকদল। বুধবার রাতে পাঁচ পুরপ্রতিনিধি যোগ দেন তৃণমূলে। সেই দলে নির্দল পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও রয়েছেন কংগ্রেস পুরপ্রতিনিধি বিজয় কান্দু, মিঠুন কান্দু (নিহত প্রাক্তন কাউন্সিলর তপন কান্দুর ভাইপো), পিন্টু চন্দ্র এবং সোমনাথ কর্মকার। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বাঘমুণ্ডির তৃণমূল বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো। বিধায়ক বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে শামিল হতে চেয়েছিলেন পুরপ্রধান-সহ পাঁচ কাউন্সিলর। দলীয় নির্দেশ মেনে আমরা তাঁদের দলে গ্রহণ করলাম।”

অনাস্থা ভোটের শেষে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পরে তৃণমূলের হাত থেকে ঝালদা পুরসভার দখল পেয়েছিল কংগ্রেস। মামলা কলকাতা হাই কোর্ট ঘুরে সুপ্রিম কোর্টে গড়ালেও শেষ পর্যন্ত উচ্চ আদালতের বিচারপতি অমৃতা সিংহের নির্দেশেই পুরপ্রধানের দায়িত্ব পেয়েছিলেন শীলা। পুরভোটের পরে আততায়ীদের গুলিতে নিহত কংগ্রেস পুরপ্রতিনিধি তপনের সহধর্মিনী পূর্ণিমা উপপুরপ্রধান হয়েছিলেন। কিন্তু তার পরেও ওই পুরসভার ক্ষমতা ফিরে পেতে তৃণমূল মরিয়া হয়ে নানা চেষ্টা চালাচ্ছে বলে ক্রমাগত অভিযোগ তুলছিল কংগ্রেস। হাত শিবিরের দাবি ছিল, জুলাই মাসের শেষে ঝালদার পুরপ্রধান-সহ কংগ্রেসের কয়েক জন পুরপ্রতিনিধিকে দলবদলের জন্য কলকাতা নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যদিও সেই সময় পুরপ্রধান শীলা দাবি করেছিলেন, তহবিল আনার ব্যাপারে কথাবার্তা বলতেই তাঁরা কলকাতায় গিয়েছিলেন।

যদিও শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস শিবিরের আশঙ্কাই সত্যি হল। শীলাদের দলে টেনে ঝালদা পুরসভা আবার দখল করল তৃণমূল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Jhalda Municipality TMC Congress
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE