Advertisement
E-Paper

বিস্ফোরণে উড়ল তৃণমূল কর্মীর বাড়ি

ওসি বদল হচ্ছেন। পুলিশ আধিকারিকরা সাসপেন্ড হচ্ছেন। এত কিছুর পরেও বীরভূমে বিস্ফোরণ থামার লক্ষণ নেই।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:০১
দুবরাজপুরের যশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। ছবি: দয়াল সেনগুপ্ত

দুবরাজপুরের যশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। ছবি: দয়াল সেনগুপ্ত

বিজেপির জেলা নেতার গ্রেফতারি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতরের দিনেই বোমা বিস্ফোরণে ধূলিসাৎ হল তৃণমূল কর্মীর গোটা বাড়ি। মঙ্গলবার দুবরাজপুরের যশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খোঁয়াজ মহম্মদপুরের ঘটনা।

ওসি বদল হচ্ছেন। পুলিশ আধিকারিকরা সাসপেন্ড হচ্ছেন। এত কিছুর পরেও বীরভূমে বিস্ফোরণ থামার লক্ষণ নেই। তৃণমূল নেতার বাড়ি হোক বা ক্লাব, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিত্যক্ত আবাসন হোক বা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র— একাধিক বিস্ফোরণ দেখেছে এই জেলা। এ বার যোগ হল দুবরাজপুরের গ্রাম।

এ দিন বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। গ্রামের নীচুপাড়ায় পিচ-রাস্তা লাগোয়া পাকাবাড়ি ছাদ সমেত মাটিতে মিশে গিয়েছে। আহত হয়েছেন এক শিশু ও মহিলা। তবে আহতরা কোথায় তা জানাতে পারেনি পুলিশ। বিস্ফোরণে যাঁর বাড়ি উড়েছে, সেই শেখ নবীর এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবেই পরিচিত। যদিও এই বিষয়ে প্রকাশ্যে একটি বাক্যও খরচ করেননি খোঁয়াজ মহম্মদপুরের বাসিন্দারা। বক্তব্য দিতেও রাজি হননি স্থানীয় প্রধান থেকে ব্লকের নেতারা। তবে জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলে দিয়েছেন, ‘‘এটা বিজেপির কাজ। বিজেপিই ওই বাড়িতে বোমা রেখেছিল।’’ কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিজেপিও। দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা দুবরাজপুরের বাসিন্দা রামকৃষ্ণ রায় বলছেন, ‘‘আমাদের নামে দোষ চাপালে হবে না। ওই গ্রামে আমাদের সংগঠনই নেই।’’

বিকেলে গ্রামে গিয়ে দেখা গেল, বিস্ফোরণে উড়ে যাওয়া বাড়ির সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী। বারুদের গন্ধ স্পষ্ট। বাড়ির কংক্রিটের ছাদ ধসে গিয়েছে। গুঁড়িয়ে গিয়েছে দেওয়াল, কংক্রিটের টুকরো, বাড়িতে থাকা খাট। আসবাব ছিন্নভিন্ন হয়ে ছিটকে গিয়েছে দূরে। তবুড়ে গিয়েছে ট্রাঙ্ক। ফাটল

ধরেছে পড়শির বাড়িতেও। এলাকায় গুঞ্জন, আঘাতে এক মহিলা ও একটি দশ বছরের শিশু জখম হয়েছে। পুলিশের একটি সূত্র মানছে, জখম হয়েছেন কেউ। কিন্তু, তিনি কোথায় তা জানা নেই। যে চত্বরে বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেখানে ওই বাড়ি ছাড়াও আরও দুটি পাকা ও একটি মাটির বাড়ি রয়েছে। কিন্তু, কারও দেখা মেলেনি। পড়শিরা শুধু জানালেন, প্রচণ্ড শব্দ হয়েছিল। ওইটুকুই।

জেলা পুলিশের এক কর্তা বলছেন, ‘‘মজুত বোমা ফেটে বিস্ফোরণ বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু, কেন বোমা মজুত করা হল সেটা তদন্ত সাপেক্ষ।’’ তৃণমূলের একটা সূত্র জানাচ্ছে, নবীর তাদের দলেরই। গোষ্ঠী সঙ্ঘাতও নেই। গোটা গ্রামই শাসকদলের সমর্থক। ব্যক্তিগত কোনও আক্রোশ থেকে থাকতে পারে বলেও অনেকের অনুমান।

Explosion House TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy