বাঁকুড়া–মশাগ্রাম ট্রেনের একটি কামরায় এমন অবস্থা। —নিজস্ব চিত্র।
বাঁকুড়া–মশাগ্রাম নতুন ট্রেনটির মহিলা বগির পরবর্তী কামরায় শৌচাগারের দরজা উধাও বয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন যাত্রীরা। এর জেরে শৌচাগার ব্যবহার করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন রেলযাত্রীরা। শুধু ব্যবহার করতে না পারা নয়, দরজাহীন শৌচাগারের কাছে দাঁড়িয়ে থাকতে অস্বস্তি হচ্ছে যাত্রীদেরও। তবে, আদ্রার ডিভিশনাল কর্মাশিয়াল এ কে মিশ্রের আশ্বাস, ‘‘বিষয়টি জানা ছিল না। আপনাদের কাছেই জানলাম। মেকানিক্যাল দফতরের কর্মীদের শীঘ্রই দরজা লাগিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছি।’’
পাত্রসায়রের বাসিন্দা অর্ক মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সপ্তাহে আমি তিন দিন মশাগ্রাম-বাঁকুড়া (৭৮০৫৩) ট্রেনটি ধরে বাঁকুড়ায় যাই। কিন্তু ওই শৌচাগারের দরজা না থাকায় কাছাকাছি আসনে বসতেও অস্বস্তি লাগে। খোলা শৌচাগার দেখতে খারাপ লাগে।’’
রেলযাত্রীরা জানাচ্ছেন, ওই লাইনে দু’টি ট্রেন চলে। পুরনোটিতে শৌচাগার নেই। নতুনটিতে আবার এই সমস্যা। পাত্রসায়রের গোপীনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই ট্রেনে বহুলোক প্রতিদিন বাঁকুড়া থেকে সোনামুখী, পাত্রসায়র, সেহারাবাজার, রায়না, মশাগ্রামে যাতায়াত করেন। তাঁদের কাছে ওই ট্রেনটি বড় ভরসা। কিন্তু, ওই কামরায় উঠতে সবাই সমস্যায় পড়ছেন।’’ শাসপুরের তারকনাথ দে জানান, ওই কামরায় পুরুষ তো বটেই, অনেক মহিলাও ওঠেন। ফলে শৌচাগারের দরজা খোলা থাকায় মহিলাদের বিশেষ বেশি সমস্যা হচ্ছে। আবার এমনও হয়, পুরুষ যাত্রী এই কামরায় উঠলেও, সঙ্গে কোনও মহিলা যাত্রী থাকলে তাঁকে অন্য কামরায় তুলে দেন।
যাত্রীদের আরও অভিযোগ, এই ট্রেন মশাগ্রাম থেকে ৮-০৫ ছেড়ে বাঁকুড়া স্টেশনে ঢোকার কথা ১০-০৫তে। কিন্তু, প্রায়দিনই বাঁকুড়া স্টেশনে ঢোকার আগে বেশ কিছুক্ষণের জন্য থামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এরপলে অনেকেই নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারছেন না। তাঁরা এ বিষয়ে রেলের আধিকারিকদের দৃষ্টি আকর্ষণের দাবি করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy