ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই। রবিবার দেশবন্ধু রোড এলাকার আরও তিন জনের রক্তের নমুনায় ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত ওই এলাকাতেই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮ হল।
গত পাঁচ দিনে শহরের দেশবন্ধু রোড এলাকায় কোনও ডেঙ্গি আক্রান্তের হদিশ মেলেনি। রবিবারের খবর আবার উদ্বেগ বাড়িয়ে দিল। ‘মশার কামড় থেকে বাঁচুন, সুস্থ থাকুন, প্রতিবেশীকে সুস্থ থাকতে দিন’—ডেঙ্গি সম্পর্কে সচেতনতার এই বার্তা নিয়ে রবিবার পথে নেমেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। ব্যানারে লেখা ছিল ‘১, ৩ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডের উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজ’। হাতে ছিল মশারি। ইতিমধ্যেই একাধিক পরিবার বাড়িতে তালা দিয়ে এলাকা ছেড়েছেন। ফাঁকা মেস। আবাসিকেরা বাড়ি চলে গিয়েছেন। অনেকেই বলছেন, ‘‘যাব কোথায়?’’
নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে একটি প্রচারপত্রও প্রকাশ করা হয়েছে। ডেঙ্গি রোখা ও চিকিৎসার ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে তাতে। পুরসভাকে অনুরোধ করা হয়েছে, আবর্জনা ও জল জমার ব্যাপারে আরও নজর দিতে। এলাকার বাসিন্দা চন্দ্রশেখর হাজরা, তাপস পাত্র, কৃষ্ণা কুণ্ডু, তনুশ্রী হাজরাদের বক্তব্য, ‘‘এই এলাকায় দিনের পর দিন পাল্লা দিয়ে ডেঙ্গি আক্রান্তের হদিস মিলছে। এলাকায় ব্যবসা বাণিজ্য বাড়ছে। বহুতল গড়ে উঠছে। ঠিক কিন্তু এই নগরায়নের উল্টো পিঠে দেখা দিচ্ছে এই ধরনের সমস্যা।’’
যদিও স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, যে হারে এলাকা থেকে ডেঙ্গি আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল সেটা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের এ দিনের উদ্যোগের প্রশংসা করছেন স্বাস্থ্য দফতরের কিছু আধিকারিক।