সপরিবারের শান্তিনিকেতন ঘুরতে এসে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক পর্যটকের। গুরুতর জখম তিন মহিলা-সহ পাঁচ জন। শনিবার সকালে বোলপুর থানার কঙ্কালীতলা লাগোয়া আদিত্যপুর এলাকার ঘটনা।
পুলিশ জানায়, মৃতের নাম শিবপ্রসাদ সিংহ (৭১)। পেশায় অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্মী শিবপ্রসাদবাবুর বাড়ি কলকাতার যাদবপুর এলাকার সন্তোষপুরে। এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ পরিবারটি স্থানীয় কঙ্কালীতলা থেকে পুজো দিয়ে একটি মারুতি ভ্যানে করে হোটেলে ফিরছিল। তখনই উল্টো দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা একটি স্করপিও গাড়ির ধাক্কায় শিবপ্রসাদবাবুদের গাড়িটি উল্টে যায়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। বর্তমানে গুরুতর জখম অবস্থায় চালক-সহ পাঁচ জন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের মধ্যে মৃতের স্ত্রী, মেয়ে এবং জামাই রয়েছেন।
পরিবার সূত্রের খবর, শুক্রবারই শিবপ্রসাদবাবু কলকাতা থেকে শান্তিনিকেতনের প্রান্তিক এলাকার একটি লজে উঠেছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী উত্তরা সিংহ, মেয়ে পম্পা রায়, জামাই শঙ্কর রায়, নাতি সাহিত্য রায় এবং আরও তিন আত্মীয়। এ দিন সকালে কঙ্কালীতলায় পুজো দিয়ে দুপুরে শান্তিনিকেতনের খোয়াই বনের হাটে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল পরিবারটির। আজ, রবিবারই পরিবারটির কলকাতা ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। তার আগেই এই দুর্ঘটনা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গত কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টির জেরে রাস্তায় জল জমে ছিল। ঘটনার সময় ভারী বৃষ্টির জেরে পথও খুব একটা ভাল দেখা যাচ্ছিল না। কঙ্কালীতলায় পুজো সেরে সপরিবারে প্রান্তিকের হোটেলে ফিরছিলেন শিবপ্রসাদ বাবু। এ দিন হাসপাতালে জখম শিবপ্রসাদবাবুর মেয়ে পম্পাদেবী বলেন, ‘‘বাবা গাড়ি চালকের পাশে বসেছিলেন। ওই সময়ে সামনে দিক থেকে আসা একটি স্করপিও গাড়ির চাকা ফেটে যায়। গাড়িটি আমাদের গাড়িকে সজোরে ধাক্কা মারে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আমাদের গাড়ি উল্টে গিয়ে রাস্তার ধারে পড়ে যায়।’’ ঘটনাস্থলেই মারা যান শিবপ্রসাদবাবু। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় পুলিশ জখমদের বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে হাসপাতালের সুপার অমিত মজুমদার বলেন, “আহতদের শরীরের একাধিক জায়গায় চোট লেগেছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে আপাতত ওঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। প্রয়োজন বুঝলে বর্ধমান বা কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হবে।”