উত্তরাখণ্ডে আটকে পড়া বাঁকুড়ার সাত অভিযাত্রী। —নিজস্ব চিত্র।
উত্তরাখণ্ডে ট্রেকিংয়ে গিয়ে আটকে পড়লেন বাঁকুড়ার সাত অভিযাত্রী। প্রত্যেকেই বাঁকুড়ার ওন্দা থানার বাসিন্দা। রবিবার সকালে ট্রেকিং শুরুর আগে প্রত্যেকের সাথে পরিবারের কথা হয়েছিল মোবাইলে। কিন্তু তার পর থেকেই তাঁদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। উত্তরাখণ্ডের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের খবর গ্রামে পৌঁছানর পর এখন পরিবারগুলি দিন কাটাচ্ছে চরম উৎকন্ঠা আর উদ্বেগের মধ্যে।
সাত অভিযাত্রীই ওন্দা থানার আগড়দা পুরুষোত্তমপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁরা হলেন, সবুজবরণ মণ্ডল, অরণ্যদেব মণ্ডল, পুষ্পেন মণ্ডল, বিকাশ রায়, ত্রিপুরারি কুন্ডু, মৃত্যুঞ্জয় পাল এবং অন্বেষা সিংহ পাল। এঁদের মধ্যে বিকাশ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নারায়ণগড়ের চাইল্ড ডেভলপমেন্ট অফিসার। বাকি ৬ জনই পেশায় শিক্ষক। অবসর পেলেই দল বেঁধে বেরিয়ে পড়া তাঁদের অভ্যাস। সেই মতো নবমীর দিন তাঁরা আরও আট জনের সঙ্গে বেরিয়ে পড়েন উত্তরাখণ্ডের উদ্যেশে। তাঁদের হর কি দুন থেকে রুইনসারা তাল পর্যন্ত ট্রেক করার কথা ছিল। রবিবার আবহাওয়া ভাল থাকায় তাঁরা ট্রেকিং শুরু করেন। তার আগে সকলেই পরিবারের সঙ্গে মোবাইলে কথাও বলেন। কিন্তু প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর থেকে তাঁদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারছেন না পরিবারের লোকজন।
সংবাদমাধ্যমে উত্তরাখণ্ডে প্রাকৃতিক দুর্যোগের খবর দেখার পর থেকেই উৎকণ্ঠায় সকলের পরিবার। অভিযাত্রীদের মধ্যে দুই ভাই সবুজবরণ এবং অরণ্য। তাঁদের বাবা জয়দেব মণ্ডল বলেন, ‘‘আমার ছোট ছেলে অরণ্য প্রায়ই পাহাড়ে যায়। এবার সে দাদা সবুজকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছে। রবিবার থেকে আর ওদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের চিন্তা হচ্ছে।’’ বাঁকুড়া জেলা পুলিশের তরফে পরিবারগুলির সঙ্গে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করা হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের উত্তর কাশী জেলার গাড়োয়াল বিভাগের প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
বাঁকুড়ার অভিযাত্রীদের মতোই কেদারনাথ বেড়াতে গিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে আটকে পড়েছেন ডেবরার এক পর্যটকও। গত বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে রহনা দিয়েছিল ডেবরার তাপস মান্না। জানা গিয়েছে, তাপস এখন রুদ্রপ্রয়াগে পৌঁছেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy