অবরোধ আদিবাসী কুড়মি সমাজের |ঝালদা লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের মুরি স্টেশনে | দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় |
আদালতের নির্দেশে এ রাজ্যে আদিবাসী কুড়মি সমাজের রেল-সড়ক অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত হলেও ঝাড়খণ্ডের একাধিক স্টেশনে তাদের অবরোধে প্রভাব পড়ল রেল চলাচলে। রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, আদ্রা ডিভিশন দিয়ে চলাচল করা ১৯টি ট্রেন বুধবার বাতিল করা হয়। তার মধ্যে রয়েছে চক্রধরপুর-বোকারো হাওড়া এক্সপ্রেস, হাওড়া থেকে চক্রধরপুর ও বোকারোগামী এক্সপ্রেস, টাটা-ধানবাদ, হাটিয়া-টাটা, বরকাখানা-আদ্রা, আসানসোল-বোকারো প্যাসেঞ্জার। নয়া দিল্লি-ভুবনেশ্বর রাজধানী এক্সপ্রেসকেও ঘুরপথে আদ্রা দিয়ে চালানো হয়েছে।
কুড়মি সমাজের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের গোমো, মুরী ও নিমডি স্টেশনে এ দিন অবরোধে শামিল হয়েছিল ঝাড়খণ্ডের কুড়মিদের একাধিক সংগঠনও। পরে সন্ধ্যার দিকে, অবরোধ প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করা হয়। গোমো স্টেশনে অবরোধে শামিল আদিবাসী কুড়মি সমাজের মূল মানতা অজিত মাহাতো বলেন, “কয়েক হাজার মানুষ অবরোধে শামিল হয়েছিলেন। আমাদের দাবি নিয়ে ঝাড়খণ্ড সরকার আলোচনায় বসবে বলে জানানোর পরে আন্দোলন প্রত্যাহার হয়েছে।”
এ দিন বেলার দিকে আদ্রা ডিভিশনের নিমডি, রাঁচী ডিভিশনের মুরী ও ধানবাদ ডিভিশনের গোমো স্টেশনে অবরোধ শুরু হয়। তার অনেক আগে থেকে রেলপুলিশ ও আরপিএফের কর্মীরা হাজির ছিলেন স্টেশন চত্বরে। পুলিশি বাধায় স্টেশনে রেললাইনের উপরে বসতে না পেরে অবরোধকারীরা খানিক দূরে রেললাইনে জমায়েত করেন। পরে, দুপুরের দিকে অবরোধকারীরা স্টেশনে বসে পড়েন। দুপুর নাগাদ নিমডি ও গোমো স্টেশনেও অবরোধ হয়। অবরোধ প্রত্যাহার করা হলেও দিনভর পুলিশি ঘেরাটোপে মোড়া ছিল পুরুলিয়ার কুস্তাউর স্টেশন ও লাগোয়া এলাকা। জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক থেকে শুরু করে রেলের আধিকারিকেরা সেখানে ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy