Advertisement
E-Paper

হামলার নালিশ বিষ্ণুপুর, পুরুলিয়ায়

ভোটের আগেও শান্ত রইল না বিষ্ণুপুর ও পুরুলিয়া। বিষ্ণুপুর শহরে তৃণমূলের প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের টিকিট না পাওয়া ‘নির্দল’ প্রার্থীর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। আহত ওই তৃণমূল প্রার্থী অভিজিৎ সিংহের হাতে চোট লেগেছে। তিনি ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ওই ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ে নেমেছেন রাজীবকান্তি রায়। তিনি এলাকায় তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বলে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু ভোটের আগে টিকিট না পেয়ে তিনি শেষে ‘নির্দল’ প্রার্থী হয়ে ভোট লড়াইয়ে নেমে পড়েন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৫ ০১:৫১
আহত বিষ্ণুপুরের তৃণমূল প্রার্থী অভিজিৎ সিংহ।—নিজস্ব চিত্র।

আহত বিষ্ণুপুরের তৃণমূল প্রার্থী অভিজিৎ সিংহ।—নিজস্ব চিত্র।

ভোটের আগেও শান্ত রইল না বিষ্ণুপুর ও পুরুলিয়া।

বিষ্ণুপুর শহরে তৃণমূলের প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের টিকিট না পাওয়া ‘নির্দল’ প্রার্থীর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। আহত ওই তৃণমূল প্রার্থী অভিজিৎ সিংহের হাতে চোট লেগেছে। তিনি ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ওই ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ে নেমেছেন রাজীবকান্তি রায়। তিনি এলাকায় তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বলে পরিচিত ছিলেন। কিন্তু ভোটের আগে টিকিট না পেয়ে তিনি শেষে ‘নির্দল’ প্রার্থী হয়ে ভোট লড়াইয়ে নেমে পড়েন।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার ঘটনা। অভিজিৎবাবুর অভিযোগ, “খবর আসে এলাকায় রাজীবকান্তি রায়ের লোকজন টাকা বিলি করছিল। আমার সমর্থক বাধা দিলে তাদের উল্টে ভয় দেখিয়ে গালিগালাজ করছে ওঁর লোকেরা। সেখানে গিয়ে আমি ঘটনাস্থল থেকে পুলিশকে ফোনে বিষয়টি জানাতে গেলে ওরা লোহার রড নিয়ে আমাকে মারধর করে। ডান হাতের কনুইয়ে ভারী চোট লাগে।’’ তাঁকে দলের ছেলেরা উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে গভীর রাতে তিনি বাড়ি ফেরেন। শুক্রবার সকালে তিনি ওই ঘটনায় যুক্ত অভিযোগে ১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মহকুমাশাসককেও তিনি ঘটনার কথা জানিয়েছেন। যদিও ওই নির্দল প্রার্থী রাজীবকান্তি রায়ের দাবি, “মারধরের মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমার সমর্থকদের ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে। উনি ভোটে হেরে যাওয়ার ভয়ে নাটক করছেন।” পুলিশ জানিয়েছে, ওই হামলায় যুক্ত অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রাজীবকান্তিবাবু এলাকায় মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। ঘটনাচক্রে সম্প্রতি এই শহরে প্রচারে এসে দলের তরফে বাঁকুড়া জেলার পর্যবেক্ষক তথা তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী মঞ্চেই বলেন, ‘‘১৯ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থীকে ভোট দেবেন না।’’ ওই মঞ্চে সে দিন শ্যামবাবুও ছিলেন না। যদিও এই হামলার পরে শ্যামবাবু বলেছেন, ‘‘ওই নির্দল প্রার্থীকে দলবিরোধী কাজের জন্য আগেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ঘটনার কথা জানার পরেই আমি পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।” বিষ্ণুপুরের মহকুমাশাসক পলাশ সেনগুপ্ত বলেন, “অভিযোগ পেয়েই পুলিশকে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে।”

এতদিন পুরুলিয়ার ভোটের চরিত্রের সঙ্গে রাজনৈতিক ঝামেলা থাকত না। কিন্তু এ বারই ব্যতিক্রম। প্রায় দিনই কোনও না কোনও দলের ক্যাম্প অফিসে হামলা, পোস্টার, ফেস্টুন ছেঁড়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতে এ বার কংগ্রেস তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাদের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের ক্যাম্প অফিসে আগুন দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে। পাশের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেসের আর একটি ক্যাম্প অফিসেও আগুন লাগানোর চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। জেলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রথীন্দ্রনাথ মাহাতোর অভিযোগ, ‘‘তৃণমূলের বাইকবাহিনীই আমাদের একটি ক্যাম্প অফিস পুড়িয়ে আরও একটি পোড়ানোর চেষ্টা চালায়। আমরা পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি।’’ খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ডিএসপি (শৃঙ্খলা ও প্রশিক্ষণ) কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। তবে তৃণমূলের জেলা নেতা নবেন্দু মাহালি দাবি করেছেন, ‘‘কংগ্রেস কর্মীরা ওই রাতে ক্যাম্প অফিসে খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করেছিল। শুনেছি তখনই কোনও ভাবে আগুন লাগে। তৃণমূলের কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’’

Trinamool BJP Municipal election Bishnupur Purulia police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy