Advertisement
E-Paper

নির্জলা দু’টি ওয়ার্ড, ক্ষুব্ধ ঝালদা

মুরগুমা জলাধার থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ঝালদা পুরশহরের ১২টি ওয়ার্ডে জল সরবরাহ করে পুরসভা। কিন্তু মাঝে মধ্যেই জল সরবরাহ বিঘ্নিত হয় বলে অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৮ ০০:৫১
কলে লাইন। নিজস্ব চিত্র

কলে লাইন। নিজস্ব চিত্র

ফের জল সঙ্কটে ঝালদা পুরশহরের বাসিন্দারা।

এ বার শহরের ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের একাংশে সমস্যা তৈরি হয়েছে। দুই ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত আট দিন ধরে তাঁদের এলাকায় পুরসভার পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার সকালে পুরসভায় গিয়ে কিছু বাসিন্দা সমস্যার কথা জানিয়েছেন। তারপর দুপুরে মিনিট দশেকের জন্য জল সরবরাহ করা হয়। কিন্তু যেখানে এক ঘণ্টা জল সরবরাহ করা হয়, সেখানে মাত্র মিনিট দশেক জল পেয়ে সমস্যার বিন্দুমাত্র সমাধান হয়নি বলে দাবি বাসিন্দাদের।

মুরগুমা জলাধার থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ঝালদা পুরশহরের ১২টি ওয়ার্ডে জল সরবরাহ করে পুরসভা। কিন্তু মাঝে মধ্যেই জল সরবরাহ বিঘ্নিত হয় বলে অভিযোগ। এমকনী টানা দু’-তিন ধরে পুরো শহর নির্জলা থেকেছে, এমন নজিরও রয়েছে। বর্তমান অবশ্য শহরের দশটি ওয়ার্ডে জল সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও সমস্যা হচ্ছে ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, গত আট দিন ধরে ওই দুই ওয়ার্ডের বড় অংশে জল সরবরাহ বন্ধ আছে। চাটানি পাড়া, চকবাজার, পুরুলিয়া-রাঁচী রাস্তার একাংশ, পিসি হালদার রোড এলাকায় জল সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ।

স্থানীয় বাসিন্দা বিজয় ভকত, মেনকা মোদক, লক্ষ্মী মোদকদের দাবি, গত আট দিন ধরে জল সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ। অন্য এলাকা থেকে জল আনতে হচ্ছে। বিজয়বাবু বলেন, ‘‘শহরের মধ্যে অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গায় অবস্থান এই দুই ওয়ার্ডের। কাজেই জলের গতিও কম। তেমনই কম জল পাওয়া যায়। যে দিন জলের চাপ যেমন থাকে, সে দিন সেই অনুযায়ী জল পড়ে।’’ ওই এলাকায় জলস্তর অনেকটা নীচে থাকায় টিউবওয়েল বসিয়েও বিশেষ সুবিধা হয় না। আবার রোজ জল কিনে খাওয়াও সম্ভব নয়। সে কারণে পুরসভার কাছে এই দুই ওয়ার্ডে জলের সমস্যার স্থায়ী সমাধান দাবি করেছেন বাসিন্দারা। বস্তুত, এ বার গত অগস্ট মাস থেকেই ঝালদায় জল সরবরাহের সমস্যা চলছে। জল সরবরাহের প্রকল্পে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হওয়ায় গত কয়েকমাসে মাঝে মধ্যেই ঝালদা নির্জলা হয়ে পড়ে।

৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের একাংশে জলের সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন উপপুরপ্রধান কাঞ্চন পাঠক। তিনি বলেন, ‘‘জলের পাইপ ফেটে যাওয়ায় ও পাইপের মধ্যে ময়লা জমে যাওয়ার কারণে ওই দুই ওয়ার্ডের একাংশের জল সরবরাহের সমস্যা হচ্ছে। আমরা দ্রুত সমস্যা মিটিয়ে পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি।” পুরপ্রধান প্রদীপ কর্মকার বলেন, ‘‘ওই দুই ওয়ার্ডে জলের সমস্যা দীর্ঘদিনের। আমরা এমইডিকে সমস্যার কথা জানিয়েছি। সমস্যার স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা চলছে।”

Crisis Water Jhalda
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy