Advertisement
E-Paper

কাকা, কাকিমা আর ‘ভাড়াটে খুনি’ গ্রেফতার

পুলিশ জানিয়েছে, গত ৩০ জুন বেলা ১১টা নাগাদ বরাবাজারের বাইপাস সংলগ্ন একটি পেট্রল পাম্পের কাছে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় পশুপতির ভাইপো কাজল মাহাতোকে। তাঁর গলার নলি কাটা ছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:২৩
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

‘সুপারি কিলার’ দিয়ে ভাইপোকে খুন করানোর অভিযোগে এক ব্যক্তি এবং তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধরা পড়েছে সেই ‘সুপারি কিলার’ও। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাতে জামশেদপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় বরাবাজারের লাউবেড়া গ্রামের পশুপতি মাহাতো এবং তার স্ত্রী ত্রিবেণীকে। গ্রেফতার করা হয় অনিল মাহাতো নামে ওই সুপারি কিলারকেও। পুলিশের দাবি, ওই দম্পতি অনিলকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভাড়া করেছিল। রবিবার পুরুলিয়া আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতদের ছয় দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, গত ৩০ জুন বেলা ১১টা নাগাদ বরাবাজারের বাইপাস সংলগ্ন একটি পেট্রল পাম্পের কাছে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় পশুপতির ভাইপো কাজল মাহাতোকে। তাঁর গলার নলি কাটা ছিল। ওই দিনই কাজলের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কাকার সঙ্গে পোশাক কিনতে গিয়েছিল সে। কাজলকে টাটা মেন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রের খবর, খুনের তদন্তে নেমে কাজলের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। পশুপতি এবং তাঁর স্ত্রীর বক্তব্যে অসঙ্গতি ছিল বলে দাবি পুলিশের। এর পরেই তাদের গতিবিধির উপরে নজরদারি শুরু হয়। সম্প্রতি পুলিশের কাছে খবর আসে, ওই দম্পতি জামশেদপুর গিয়েছে। শনিবার বরাবাজার থানার আইসি সৌগত ঘোষের নেতৃত্বে জামশেদপুরে যায় পুলিশের একটি দল। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় ওই তিন জনকে। পুলিশের দাবি, ধৃতেরা অপরাধ স্বীকার করেছে।

তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, কাজল তাঁর বাবা-মায়ের এক মাত্র সন্তান ছিলেন। পশুপতির কোনও পুত্রসন্তান ছিল না। কয়েকবার ত্রিবেণীর গর্ভেই নষ্ট হয়ে যায় ভ্রূণ। তার সন্দেহ হয়, কাজলের মা ‘তুকতাক’ করে নষ্ট করেছে তাঁর গর্ভস্থ ভ্রূণ। ত্রিবেণী ও তার স্বামীর ধারণা ছিল, বংশের এক মাত্র পুত্রসন্তান হওয়ায় পারিবারিক সম্পত্তি পাবে কাজল। এর পরেই তারা কাজলকে খুনের ‘ছক’ কষে বলে দাবি পুলিশের। পুলিশের দাবি, ওই দম্পতি ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ভাড়া করে অনিলকে। কী ভাবে অনিলের সঙ্গে ওই দম্পতির যোগাযোগ হয়েছিল তার তদন্ত চলছে।

বিয়ের দিন কাজলকে মোটরবাইকে চাপিয়ে পোশাক কিনতে গিয়েছিল পশুপতি। পথে অনিলের সঙ্গে সে কাজলের পরিচয় করিয়ে দেয়। তার পরে অনিলকে বাস স্ট্যান্ডে ছেড়ে আসতে বলে কাজলকে। অনিলকে মোটরবাইকে চাপিয়ে বাসস্ট্যান্ডের দিকে রওনা দেন কাজল। বাইপাসে ফাঁকা একটি জায়গায় কাজলকে বাইক থামাতে বলে অনিল। পিছন থেকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কাজলের গলা কেটে দেয়। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রের খোঁজ মেলেনি।

Crime Murder Arrest
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy