অবস্থান বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
জেলায় ট্রেন চালু করার দাবি ক্রমেই জোরদার হচ্ছে। কয়েক দিন আগেই সাঁইথিয়া-সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় ট্রেন চালু করার দাবিতে সাঁইথিয়ার স্টেশন ম্যানেজারকে স্মারকলিপি দিয়েছিল স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তাতে ইচিবাচক কোনও সাড়া না পাওয়ায় শুক্রবার ফের সাঁইথিয়া স্টেশনে অবস্থান বিক্ষোভ করলেন ওই সংস্থার সদস্যেরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন এলাকার কিছু বাসিন্দা এবং হকারেরা।
হাওড়া-রামপুরহাট এবং অন্ডাল-সাঁইথিয়া রেলপথের একটি গুরুত্বপূর্ণ জংশন সাঁইথিয়া। পাশাপাশি, জেলার অন্যতম ব্যবসাকেন্দ্রও। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ওই দুই রেলপথে কলকাতা, হাওড়া-সহ বিভিন্ন জায়গায় মাল কিনতে যান। জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজনও সাঁইথিয়ায় ট্রেন ধরেন। লকডাউনে ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই হাজার হাজার মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন। হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকে দৈনিক লোকাল চালু হওয়ার পরে জেলার মানুষ আশায় বুক বাঁধছিলেন। কিন্তু, রেল কোন ওঘোষণা না-করায় অপেক্ষা করে করে নিত্যযাত্রী থেকে হকারদের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে।
স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষে প্রীতম দাস, হৃদয় বিত্তার, নীলাঞ্জন দাস বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত কোনও ট্রেনেরই ঘোষণা করেনি এই জেলায়। গত ৮ নভেম্বর লোকাল ট্রেন চালানোর দাবি নিয়ে সাঁইথিয়া স্টেশন মাস্টারের মাধ্যমে পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারের কাছে এবং রেলমন্ত্রককে চিঠি পাঠানো হয় আমাদের পক্ষ থেকে। কিন্তু, কোনও কাজ না হওয়ায় এ দিন বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।’’
এ দিন রেললাইনে নেমেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। ট্রেন বন্ধ থাকাকালীন হকারদের ভাতা দেওয়ার পাশাপাশি কিছু এক্সপ্রেস ট্রেনের সাঁইথিয়া-সহ জেলার বিভিন্ন স্টেশনে স্টপ দেওয়ার দাবিও তোলা হয়। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, অবিলম্বে ট্রেন চলাচল চালু না হলে আগামী দিনে গণতান্ত্রিক
পদ্ধতিতে সমস্ত লাইন অবরোধ করে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে। স্টেশন মাস্টার পুলক রায় বলেন, ‘‘ওই দাবির বিষয়ে আগেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করা হয়েছে। ফের করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy