Advertisement
E-Paper

আন্ডারপাসের দাবিতে অবরোধ, বিক্ষোভের মুখে সাংসদ

সকালের দিকে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে অবরোধ শুরু হলেও পরে পুলিশ গিয়ে তা তুলে দেয়। এরপর বিষ্ণুপুর রেল স্টেশনে দীর্ঘ ক্ষণ বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ ০৫:২৯
আন্ডারপাসের দাবিতে ৬০ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করল গ্রামবাসীরা ।

আন্ডারপাসের দাবিতে ৬০ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করল গ্রামবাসীরা । ছবিঃ অভিজিৎ অধিকারী ।

অবরোধের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল আগের দিন। মঙ্গলবার সকাল থেকেই তা শুরু হয়। বিষ্ণুপুরে স্টেশনে আন্ডারপাসের দাবিতে এ দিন স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে বাঁকুড়া-খড়্গপুর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে প্রায় ঘণ্টাখানেক অবরোধে বসেন একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা। যার জেরে বেশ কিছু ক্ষণ ব্যাহত হয় যান চলাচল। ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।

এ দিন সকালের দিকে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে অবরোধ শুরু হলেও পরে পুলিশ গিয়ে তা তুলে দেয়। এরপর বিষ্ণুপুর রেল স্টেশনে দীর্ঘ ক্ষণ বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। অবরোধকারীদের মধ্যে কুসুমবনীর বাসিন্দা চম্পা বাউরি, সুস্মিতা লোহার, দ্বাদশবাড়ির রিঙ্কু ধবলদেব, যমুনাবাঁধ কলোনির লিপিকা সেনগুপ্তরা বলেন, “উড়ালপুল তৈরির জন্য রেল ফটক বন্ধ করা হল। উড়ালপুল চালুও হল অথচ রেল লাইনের ও পারে থাকা ২২টি গ্রামের মানুষ কী ভাবে আনাজ নিয়ে বিষ্ণুপুরের বাজারে আসবে সেটা রেল দফতর ভাবল না। রেল লাইনের পাশেই হাই স্কুল রয়েছে। কী ভাবে ছাত্রছাত্রীরা সাইকেল নিয়ে স্কুলে আসবে সেটাও প্রশাসন ভাবেনি।”

আন্ডারপাস কবে হবে? সে নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি বিষ্ণুপুরের স্টেশন মাস্টার দীপককুমার পাল। তিনি বলেন, “আন্ডারপাস নিয়ে আমাদের কাছে এখনও কোনও নির্দেশ আসেনি। তবে যাত্রীদের অসুবিধা করে স্টেশনে এ ভাবে বিক্ষোভ দেখানো যাবে না। বিক্ষোভকারীদের অনুরোধে আমরা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মাল গাড়িটি সরিয়ে দিচ্ছি।”

এই পরিস্থিতিতে বিক্ষোভকারীদের মুখোমুখি হন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সাংসদকে কাছে পেয়ে তাঁকে ঘিরে ধরে দাবি-দাওয়া জানাতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। যদিও সৌমিত্র বলেন, “এটা বিক্ষোভ নয়, ভালবাসা। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রেল দফতরে চিঠি গেলে কথা দিচ্ছি ১৫ দিনের মধ্যেই কাজের দরপত্র আহ্বান করব। আমি রেল মন্ত্রীকে কয়েক দিন আগেই আন্ডারপাসের দাবিতে চিঠি দিয়েছি। ফের আদ্রা রেলের ডিভিশনাল ম্যানেজারকে চিঠি দিচ্ছি।”

জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, রেলের কাজে রাজ্য সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে পারে না। বাঁকুড়ার তৃণমূল সাংসদ অরূপ চক্রবর্তীও বলছেন, “একের পর এক মেলা, পর্যটকদের ভিড় থাকলেও বিশেষ কোনও ট্রেনের ব্যবস্থা করেনি রেল দফতর। সে দিকে নজর দিক বিজেপি সাংসদ। আগামী বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ায় রেলের জেনারেল ম্যানেজারেরসঙ্গে বৈঠক আছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।”

Bishnupur
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy