Advertisement
E-Paper

চমক লাগানো মডেল বিজ্ঞান মেলায়

স্কুল-কলেজের মধ্যেই তাঁদের গণ্ডি। কিন্তু বিজ্ঞান নিয়ে কৌতূহল অনেক দূর। খোঁজখবর করতে গিয়েই পুরুলিয়ার এমন বেশ কিছু পড়ুয়া তৈরি করে ফেলেছেন চমক লাগানো বিজ্ঞানের বিভিন্ন মডেল। সম্প্রতি পুরুলিয়া জেলা বিজ্ঞান কেন্দ্রে দু’দিনের বিজ্ঞান মেলায় তেমনই কিছু উদ্ভাবন দেখাল তারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০১৮ ০০:২১
পুরুলিয়া বিজ্ঞান কেন্দ্রে। নিজস্ব চিত্র

পুরুলিয়া বিজ্ঞান কেন্দ্রে। নিজস্ব চিত্র

স্কুল-কলেজের মধ্যেই তাঁদের গণ্ডি। কিন্তু বিজ্ঞান নিয়ে কৌতূহল অনেক দূর। খোঁজখবর করতে গিয়েই পুরুলিয়ার এমন বেশ কিছু পড়ুয়া তৈরি করে ফেলেছেন চমক লাগানো বিজ্ঞানের বিভিন্ন মডেল। সম্প্রতি পুরুলিয়া জেলা বিজ্ঞান কেন্দ্রে দু’দিনের বিজ্ঞান মেলায় তেমনই কিছু উদ্ভাবন দেখাল তারা।

যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া দফতর আয়োজিত বিজ্ঞান মেলা সবে শেষ হয়েছে। কিন্তু তাঁদের কাজ নিয়ে দর্শকদের মধ্যে আলোচনা শেষ হয়নি। কাশীপুরের বেকো আঞ্চলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের যুবরাজ মাহাতো ও অনিমেশ গড়াই থার্মোকল ও কাচ ব্যবহার করে তৈরি করেছে পরিবেশবান্ধব কুলিংবক্স। তাদের দাবি, মোটর চালিয়ে বাক্সের ভিতরে ঠান্ডা রাখা যাচ্ছে। আবার রেফ্রিজারেটর থেকে যে সমস্ত ক্ষতিকারক গ্যাস প্রকৃতিতে মেশে, এই কুলিংবক্স ব্যবহারে সে সব আটকানো যাবে। প্রথম স্থান দখল করে করেছে এই দুই খুদে বিজ্ঞানী।

পুরুলিয়া জেলা স্কুলের স্বর্ণাভ ঘোষ ইনফ্রারেড রশ্মি ব্যবহার করে কী ভাবে সীমান্তের ওপারে থাকা শত্রুর অবস্থান জানা যাবে, সেই মডেল হাজির করেছিল। উচ্চমাধ্যমিক বিভাগের প্রতিযোগিতায় তার মডেল প্রথম স্থান দখল করেছে। কলেজ স্তরের প্রতিযোগিতায় বিআইএসটির ছাত্র প্রকাশ সেনের মডেলও প্রথম স্থান অধিকার করেছে। রিমোর্টের সাহায্যে সেন্সরের মাধ্যমে কী ভাবে সীমান্ত থেকে ওপারে থাকা লক্ষ্যবস্তু বা শত্রুর উপরে আঘাত হানা যাবে, তেমনই মডেল করেছেন তিনি।

উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে দেবী সুশীলা কেডিয়া ডিএভি পাবলিক স্কুলের রক্তিম মাহাতো ও স্নেহাশিস চট্টোপাধ্যায় দেখিয়েছে, কী ভাবে সেন্সর ব্যবহার করে দু’টি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ এড়ানো যাবে। তারা পেয়েছে দ্বিতীয় পুরস্কার। রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের আলেখ্য বন্দ্যোপাধ্যায় ও চন্দ্রিল মল্লিক দেখিয়েছে, আনাজ চাষ, পশু পালনের বর্জ্য থেকে কী ভাবে জৈব-জ্বালানি তৈরি হচ্ছে। তারা পায় তৃতীয় পুরস্কার।

কলেজ স্তরের প্রতিযোগিতায় পুরুলিয়া পলিটেকনিকের সত্যব্রত মাহাতো চালকবিহীন গাড়ি উপস্থিত করেছিলেন। তাঁর মডেল জিতেছে দ্বিতীয় পুরস্কার। জগন্নাথ কিশোর কলেজের সুচেতা রাহা নাইট্রোজেন, ফসফরাস-সহ বিভিন্ন যৌগের ব্যবহার জৈব চাষে কী ভাবে সহায়ক হতে পারে, তা দেখিয়ে তৃতীয় পুরস্কার জিতেছেন।

অন্য দিকে, মাধ্যমিক স্তরের প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হয়েছে বাঘমুণ্ডি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র অমিতরঞ্জন কুইরী ও বিষ্ণুপদ দে। তৃতীয় হয় পুরুলিয়া ২ ব্লকের হুটমুড়া হরিমতী বালিক উচ্চ বিদ্যালয়ের অনামিক ওঝা ও অনন্য ওঝা।

প্রতিযোগিতার অন্যতম বিচারক সিধো-কানহো-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দেবাশিস ধক বলেন, ‘‘বোঝাই যাচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা বিজ্ঞানের ব্যবহার নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছে।’’

Science Fair Students Models
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy