Advertisement
E-Paper

৩১ থেকে পিছিয়ে হল ৩৭, কেন কমল র‌্যাঙ্কিং, চর্চা বিশ্বভারতীতে

সোমবার দিল্লিতে এ বারের ‘র‌্যাঙ্কিং’ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে ন’ধাপ এগিয়ে এ বছর র‌্যাঙ্কিংয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।

দেবস্মিতা চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০১৯ ১০:৩১
এ বছর ৪৬.২৭ স্কোর নিয়ে সার্বিক ভাবে ৫৯ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে ৩৭ র‌্যাঙ্কে রয়েছে বিশ্বভারতী। —ফাইল চিত্র।

এ বছর ৪৬.২৭ স্কোর নিয়ে সার্বিক ভাবে ৫৯ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে ৩৭ র‌্যাঙ্কে রয়েছে বিশ্বভারতী। —ফাইল চিত্র।

মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের র‌্যাঙ্কিং ২০১৯-এ (এনআইআরএফ) গত বারের তুলনায় আরও কিছুটা পিছিয়ে গেল বিশ্বভারতী। এ বছর ৪৬.২৭ স্কোর নিয়ে সার্বিক ভাবে ৫৯ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে ৩৭ র‌্যাঙ্কে রয়েছে বিশ্বভারতী। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হয়েও এই র‌্যাঙ্কিং ভাবাচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে আসার জন্য ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছি। সহকর্মীদের পাশে পাচ্ছি সব সময়। আশা করা যায়, সামনের বছরে আমাদের র‌্যাঙ্কিং অনেকটা এগিয়ে যাবে।’’

সোমবার দিল্লিতে এ বারের ‘র‌্যাঙ্কিং’ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে ন’ধাপ এগিয়ে এ বছর র‌্যাঙ্কিংয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। সার্বিক ভাবেও কলকাতা অনেকটা উঠে এসেছে। এনআইআরএফ সূত্র জানাচ্ছে, ২০১৭ সালে ৪৮.১৯ স্কোর পেয়ে দেশের মধ্যে সার্বিক ভাবে ৩১ র‌্যাঙ্কে ছিল বিশ্বভারতী। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে ছিল ১৯ র‌্যাঙ্কে। ২০১৮ সালে বিশ্বভারতীর স্কোর হয় ৪৭.৬২। দেশের মধ্যে সার্বিক ভাবে ৪৮ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে ৩১ র‌্যাঙ্ক হয় বিশ্বভারতীর।

এ বছর স্কোর আরও কিছু কমে ৪৬.২৭ হয়েছে। তাতেই সার্বিক ভাবে ৫৯ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে ৩৭ র‌্যাঙ্কিংয়ে রয়েছে বিশ্বভারতী। কারও প্রশ্ন, গতবারের তুলনায় স্কোরের পার্থক্য বেশি নেই। তা হলে র‌্যাঙ্কিংয়ে এমন তারতম্য হচ্ছে কেন? পর্যবেক্ষণের সময় মন্ত্রক থেকে যে যে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়, সেগুলোর আদৌ ঠিক ভাবে মূল্যায়ন হয় কি না সে বিষয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকে।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, র‌্যাঙ্কিং করার সময় মূলত শিক্ষা এবং শিক্ষণভিত্তিক বিষয়ের উপরেই জোর দেওয়া হয়। যেমন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কত জন অধ্যাপক আছেন, কত দিন ধরে আছেন, তাঁদের অভিজ্ঞতা কেমন, কতগুলি প্রকাশনা আছে— সব কিছুর তথ্য নেয় মন্ত্রক। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের বিষয়েও তথ্য দিতে হয়। এ ছাড়াও আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে, তা হল পড়ুয়ারা কেমন সাফল্য পেয়েছে। অর্থাৎ, বিশ্বভারতী থেকে বেরিয়ে কত সংখ্যক পড়ুয়া কী মাইনের চাকরি পাচ্ছেন সেটাও বিবেচনা হয়। সব থেকে বেশি মাইনে পাওয়া বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী কত জন আছেন, তাঁদের মাইনে কত সব দেখা হয়। পড়ুয়ারা কেমন সুযোগ-সুবিধা পান, এ সব কিছুর উপরে বিচার করেই র‌্যাঙ্ক নির্ধারণ করা হয়।

বিশ্বভারতীর অধ্যাপক, আধিকারিক, কর্মী, পড়ুয়ারা জানালেন, প্রায় তিন বছর বিশ্বভারতীতে কোনও স্থায়ী উপাচার্য ছিলেন না। অস্থায়ী উপাচার্য যাঁরা ছিলেন, আইনি বাধার কারণে অনেক কিছুই তাঁরা করে উঠতে পারেননি বলেও মনে করেন। শূন্যপদের পাশাপাশি পদোন্নতিও আটকে ছিল এত দিন। দীর্ঘ টানাপড়েনের পরে বিশ্বভারতীর স্থায়ী উপাচার্য হিসেবে বিদ্যুৎবাবু যোগ দেন। তার পরই বিভিন্ন চেষ্টা শুরু হয়েছে বলে জানান তাঁরা।

প্রথম ধাপে ইতিমধ্যেই ৭২ জনের পদোন্নতি হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের প্রস্তুতিও নির্বাচনের পরে শুরু হবে বলে খবর। আগামী বছরের জন্য প্রস্তুতি নিতে ‘নাক’-এর জন্য কোর কমিটি তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষার পরিবেশ উন্নত করতে শুরু হয়েছে ‘বিশ্বভারতী লেকচার সিরিজ’। যেখানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে থাকা বিশেষজ্ঞরা এসে বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য রাখছেন। পরিবেশগত দিকটিও খেয়াল রাখা হচ্ছে।

এত কিছুর পরে এনআইআরএফ ২০২০-তে বিশ্বভারতী কত র‌্যাঙ্কে থাকে সেটাই এখন দেখার।

Visva-Bharati University NIRF Education
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy