ভাঙা কাচ। নিজস্ব চিত্র
পৌষমেলার মাঠকে ঘিরে দেওয়ার প্রশ্নে বিশ্বভারতীর যুক্তিকে সমর্থন করায় মোটরবাইক বাহিনী তাঁর বাড়ি ও গাড়ি ভাঙচুর করেছে বলে শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ করলেন বিশ্বভারতীর মাস কমিউনিকেশন বিভাগের অধ্যাপক বিপ্লব লোহচৌধুরি। সোমবার রাত ন’টা নাগাদ ৬-৭টি মোটরবাইকে চেপে জনা দশেক লোক এসে ইট ছুড়ে জানলার কাচ, স্কুটার ভেঙে দিয়েছে বলে অভিযোগ বিপ্লববাবুর। আরও অভিযোগ, উপস্থিত মুখ ঢাকা দুষ্কৃতীরা গালিগালাজ করে। মাঠ ঘেরার সমর্থক হওয়ায় সাবধানও করা হয়। রাতেই শান্তিনিকেতন থানায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
সোমবার পৌষমেলার মাঠ সীমানা পাঁচিলে ঘিরে নিয়ে সকাল থেকেই তেতে ছিল শান্তিনিকেতন। বিশ্বভারতীর সঙ্গে দীর্ঘকালীন বিবাদে জড়িয়ে থাকা বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন সকাল থেকেই। বিপ্লববাবু অভিযোগপত্রে কারও নাম না করলেও ভাঙচুরের ঘটনায় অনেকে ব্যবসায়ী সমিতিকেই দায়ী করেছেন। যদিও সমিতির সম্পাদক সুনীল সিংহ দাবি করেন, “এর সঙ্গে বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির কোনও সম্পর্ক নেই। কেউ হয়তো মেলার মাঠের ঘটনাকে ঢাল করে ব্যক্তিগত আক্রোশ মিটিয়েছে। আমরা এই ধরণের ভাঙচুরের ঘটনার তীব্র বিরোধিতা করি।”
আর বিপ্লববাবু বলছেন, ‘‘দীর্ঘ অধ্যাপক জীবনে কখনও এমন আচরণের সম্মুখীন হয়নি। অভিযোগ না করলে কুকর্মকে প্রশ্রয় দেওয়া হত।” শান্তিনিকেতন থানার তরফ থেকে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায় পুলিশের একটি দল। বিপ্লববাবুর স্কুটারটিকেও নিজেদের হেফাজতে রেখেছে পুলিশ।
এ দিকে, সোমবারের ভাঙচুরের ঘটনায় বিশ্বভারতীর এবিভিপির মুখপাত্র অপুর্ব শরদ বলেন, ‘‘একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পূর্ণ অধিকার আছে, কী ভাবে তারা ক্যাম্পাস সুরক্ষিত রাখবে, কোথায় কী তৈরি হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। সোমবার যে ভাবে ক্যাম্পাসে তাণ্ডব চালানো হয়েছে তা ন্যাক্কারজনক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy