উত্তরাখণ্ডের রামগড়ে তৈরি হচ্ছে বিশ্বভারতীর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস। —ফাইল চিত্র।
উত্তরাখণ্ডের রামগড়ে তৈরি হচ্ছে বিশ্বভারতীর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস। আগামী জুলাই মাস থেকেই সেখানে পঠনপাঠন চালু হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের এই পরিকল্পনাকে সন্দেহের চোখেই দেখছে অধ্যাপকদের একটি সংগঠন। ‘চক্রান্তের আশঙ্কা’ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের একাংশের প্রশ্ন, বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী যেখানে বিভিন্ন পদক্ষেপে রবীন্দ্র ঐতিহ্যকে নষ্ট করার চেষ্টা চালাচ্ছেন, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তিনি কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন?
সাম্প্রতিক কালে বিদ্যুতের একাধিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামতে দেখা গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া থেকে শুরু করে অধ্যাপকদের। পৌষমেলা বন্ধ নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে তরজায় জড়িয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই সব ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী নুরুল হক বলেন, ‘‘উপাচার্যকে এক বৈঠকে বিশ্বভারতী বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিতে শোনা গিয়েছিল। এর পরেই দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।’’ বর্তমানে বিশ্বভারতীর ছাত্র সোমনাথ সৌ বলেন, ‘‘কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত কোথাও একটা সন্দেহ বাড়িয়ে তুলছে! যে উপাচার্য রবীন্দ্র ঐতিহ্যকে নষ্ট করতে চাইছেন, তিনিই আবার রবীন্দ্র-ভাবনার প্রসার ঘটাতে চাইছেন, এই বিষয়টা খুবই অবাক করছে।’’
অন্য দিকে, বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সংগঠনের সদস্য সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আগে একাধিক বার বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু কর্মী-অধ্যাপককে সাসপেন্ড, স্থানান্তরিত করার ঘটনা ঘটেছে। আমাদের আশঙ্কা, দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তৈরি হলে এই ঘটনা আরও বেশি ঘটতে পারে। আর উপাচার্য তো কোনও বিজ্ঞপ্তিও জারি করেন না। আমরাও এই খবর সংবাদমাধ্যম থেকে পেয়েছি। আগামী দিনে কী হতে চলেছে জানি না।’’
বিশ্বভারতীর আশ্রমিক সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শান্তিনিকেতন থেকে ক্যাম্পাস তুলে নিয়ে যাওয়া অত সহজ হবে না। তবে এমন পরিকল্পনা নেওয়ার আগে আশ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করা জরুরি ছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy