Advertisement
E-Paper

নাচে-গানে সাড়ম্বরে বিবেকজয়ন্তী

রবিবার সকালে সিউড়ি বিবেকানন্দ গ্রন্থাগারে প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করে শুরু হয় অনুষ্ঠান। উপস্থিত ছিলেন ভরত সেবাশ্রম সঙ্ঘের দুমকা রানিশ্বরে শাখার অধ্যক্ষ স্বামী নিত্যব্রতনন্দ।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:১৫
পূণ্যার্থী: নতুন প্রজন্মের শ্রদ্ধা। বিবেক-জয়ন্তীতে। শুক্রবার সিউড়িতে। নিজস্ব চিত্র

পূণ্যার্থী: নতুন প্রজন্মের শ্রদ্ধা। বিবেক-জয়ন্তীতে। শুক্রবার সিউড়িতে। নিজস্ব চিত্র

জেলার বিভিন্ন অংশে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পালিত হল স্বামী বিবেকান্দের ১৫৬ তম জন্মদিন। পদযাত্রা, ম্যারাথন দৌড়, পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন, আলোচনাসভা, বস্ত্র বিতরণ থেকে বসে আঁকো, ভলিবলের মতো নানা অঙ্গিকে সাজানো ছিল বিবেক জন্মজয়ন্তী।

রবিবার সকালে সিউড়ি বিবেকানন্দ গ্রন্থাগারে প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করে শুরু হয় অনুষ্ঠান। উপস্থিত ছিলেন ভরত সেবাশ্রম সঙ্ঘের দুমকা রানিশ্বরে শাখার অধ্যক্ষ স্বামী নিত্যব্রতনন্দ। ‘স্বামীজি’ নিয়ে বক্তব্য রাখেন স্বামী নিত্যব্রতনন্দ। উপস্থিত ছিলেন সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজের শিক্ষক সব্যসাচী রায়। দুঃস্থ ৫০ জন শিশুকে সোয়েটার ও ফুলপ্যান্ট দেওয়া হয়। রাজনগর তৃণমূলের পক্ষ চন্দ্রপুরে এ দিন দিনভর বিবেকানন্দ জন্মজয়ন্তী পালনের এলাহি আয়োজন ছিল। ছিল ম্যারাথন দৌড়, ভলিবল প্রতিযোগিতা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দুবরাজপুর পুরসভার পক্ষ থেকেও পালিত হয়েছে স্বামীজির জন্মদিন। বিবেকানন্দের বাণী ও প্রতিকৃতি দুবরাজপুরের নানা স্কুলে পালিত হয়েছে ‘বিবেক চেতনা দিবস’। ৬ থেকে ১৬ বছরের বয়সীদের আঁকা প্রতিযোগিতার আসর বসে একটি বেসরকারি স্কুলের তরফে। সন্ধ্যায় বিবেকানন্দের জন্মদিন উপলক্ষে দুবরাজপুরের সাংস্কৃতিক সংস্থা ‘সৃজা’ সোসাইটির পরিবেশনায় ছিল নাটক ‘বিশ্বনাথের আজব কল’। এটি অনুষ্ঠিত হয় শহরের নেপাল মজুমদার ভবনে।

অন্য দিকে, বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে একগুচ্ছ অনুষ্ঠানের পাশাপাশি মাল্টিজিম উদ্বোধন, রবীন্দ্রনাথের আবক্ষ মূর্তির আবরণ উন্মোচন এবং স্কুল ম্যাগাজিন ‘আরতি’ প্রকাশিত হল সাঁইথিয়া হাইস্কুলে। শুক্রবার ওই স্কুলে বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হয় স্কুলের বার্ষিক উৎসবও। উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র, বিজ্ঞানী আনন্দমোহন চক্রবর্তী, বিধায়ক নীলাবতী সাহা, পুরপ্রধান বিপ্লব দত্ত প্রমুখ। অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা অভিনীত ডকুমেন্টারি থিয়েটার ‘পনেরো মিনিটে সত্যজিত রায়’, নাটক কেনারাম বেচারাম এবং শিক্ষক তীর্থজিত ঘোষ ও অতনু বর্মন অভিনীত অনুনাটক ‘আমন্ত্রণ’। প্রধান শিক্ষক শ্রী অরুণকুমার দাস বলেন, ‘‘জেলার সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে এই বিদ্যালয় বরাবরই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে।’’

জন্মজয়ন্তী পালিত হয়েছে রামপুরহাটের বিভিন্ন এলাকাতেও। সকালে রামপুরহাট শ্রী রামকৃষ্ণ সারদা পাঠচক্রর উদ্যোগে শহরে পদযাত্রা বের হয়। রামপুরহাট মিতালি সঙ্ঘের উদ্যোগে সকালে বিবেকানন্দের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। বিকেলে ‘অমৃতবাণী’ বিলি করা হয়। শহরের দেশবন্ধু রোডে বিবেকানন্দ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে বিবেকানন্দ, রামকৃষ্ণ, সারদা মায়ের বাণী ও জীবনী নিয়ে পুস্তক বিক্রির স্টল করা হয়। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের উদ্যোগে শহরে পদযাত্রাও বের হয়। মুরারই থানার রাজগ্রাম বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠের উদ্যোগে প্রভাতফেরির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। স্কুলের সম্পাদক শঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ১৯৯৮ সাল থকে সাড়ম্বরে এই জন্মদিন পালিত হয়ে আসছে। প্রতিবছর বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং স্কুলের বার্ষিক পুরস্কার প্রদান করা হয় এ দিনে।

পশ্চিমবঙ্গ যুব কল্যাণ দফতরের উদ্যোগে পাইকরে বিবেক চেতনা উৎসব পালিত হয়। এলাকার পাঁচটি স্কুলের পড়ুয়ারা আঁকা, আবৃতি, বিবেকানন্দকে নিয়ে বক্তৃতা, বিবেকানন্দ সাজো প্রতিযোগিতা সহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শিক্ষক এবং সাংস্কৃতিক কর্মী রূপনাথ রায়। পাইকরে অন্য একটি অনুষ্ঠানে কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সংখ্যালঘু সেলের উদ্যোগে সম্প্রীতি দিবস হিসেবে দিনটিকে পালন করা হয়। মাড়গ্রামের হাতিবাগান মোড়ে রামপুরহাট ২ ব্লক বিজেপি কর্মীরা বিবেকানন্দর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন।

অন্য দিকে, সবুজ অবুঝ, বিবেকানন্দ সমিধ সঙ্ঘ ও পুনর্ণবের উদ্যোগে স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৬ তম জন্মজয়ন্তী উদযাপিত হল বিশ্বভারতীর বিনয়ভবন সভাগৃহে। অনুষ্ঠানে বৈদিক মন্ত্র পাঠ করেন অধ্যাপিকা কাঞ্চন দাশগুপ্ত ও সবুজ অবুঝের সদস্যগণ। স্বামীজির জীবন অবলম্বনে সবুজ অবুঝ পরিবেশন করে আলেখ্য ‘হে মহাজীবন’। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন মানস বন্দ্যোপাধ্যায়। সভামুখ্যের ভাষণ দেন অধ্যাপিকা সবুজকলি সেন। পাঠ ও গানে এলমহাস্ট ইনস্টিটিউটের মেয়েরা পরিবেশন করে ‘উৎসারিত আলো’।

স্বামী বিবেকানন্দের জন্মতিথিতে তাঁর নামাঙ্কিত একটি মঞ্চের শিল্যান্যাস হল ব্লক বিবেক উৎসবে। শুক্রবার ময়ূরেশ্বর ১ নম্বর ব্লকে বিবেক উৎসব পালিত হয় হাটুরিয়া–বিলাসপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে। ওই মাঠেই বিবেক মঞ্চের উদ্বোধন করা হয়। হাজির ছিলেন ময়ূরেশ্বর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ধীরেন্দ্রমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়, বিডিও সুশান্তকুমার বসু, জয়েন্ট বিডিও দেবজ্যোতি বড়াল। ধীরেনবাবু জানান, ওই মঞ্চ নির্মাণের জন্য কানাচি পঞ্চায়েতের চর্তুদশ অর্থ কমিশন তহবিল থেকে ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

Suri Vivek Jayanti
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy