তৈরি হচ্ছে ম্যুরাল। শুক্রবার। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।
শান্তিনিকেতনের রতনপল্লিতে নবনির্মিত ভারততীর্থ বাজারে সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু করল বিশ্বভারতী। গত এক বছরে পাঁচিল দেওয়ার ঘটনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে ক্রমাগত বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ‘ঐতিহ্য বিরোধীতার’ অভিযোগ উঠেছে। সেই প্রেক্ষাপটে সৌন্দর্যায়নের এই সিদ্ধান্তে খুশি অনেকেই।
ভারতীর্থ বাজারের রামকিঙ্কর মঞ্চ সংলগ্ন পাঁচিল জুড়ে ম্যুরাল তৈরির কাজ করছেন বিশ্বভারতী কলাভবনের ছাত্র ভিজিল। দেওয়াল জুড়ে শান্তিনিকেতনি ঘরানার নকশা আঁকার কাজ প্রায় শেষ। এর পরে শুরু হবে সিমেন্টের কাজ। তবে, এক মাসের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ শেষ করার পরিকল্পনা থাকলেও এত কম সময়ে তা সম্ভব হবে কি না, সেই নিয়ে সংশয় রয়েছে। ঘটনাচক্রে, যে রতনপল্লি এলাকায় এই সৌন্দর্যায়নের কাজ চলছে, তা গত কয়েক মাসে উপাচার্য ও কর্তৃপক্ষ বিরোধী দেওয়াল লিখন কিংবা পোস্টারিং-এর কার্যত ভরকেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। এমনকি বর্তমানে যে দেওয়ালে ম্যুরালের কাজ চলছে, তার উল্টো দিকের দেওয়ালগুলিতেই একাধিক স্লোগান বা দাবি লিখিত রয়েছে এখনও। বিশ্বভারতীর এক কর্মী বলেন, “বারবার ওই দেওয়ালগুলিতে লেখা রং দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়, কিন্তু একদল পড়ুয়া আবার তার উপরেই নতুন কিছু লিখে বা পোস্টার লাগিয়ে চলে যায়। এতে পুরো জায়গার সৌন্দর্যই নষ্ট হয়।’’
তাই, এ বার দেওয়াল জুড়ে শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তোলার এই সিদ্ধান্ত দৃষ্টিনন্দন তো বটেই, পাশাপাশি ভারততীর্থ বাজারে আসা বহু পর্যটকের কাছেও আকর্ষণীয় হবে বলে মনে করছেন বিশ্বভারতীর বড় অংশ। কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তকে একটি সুন্দর ও সময়োপযোগী উদ্যোগ বলে মন্তব্য করছেন বিশ্বভারতী কর্মিমণ্ডলীর যুগ্ম-সম্পাদক কিশোর ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, “বিশ্বভারতী যাতে সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন থাকে, সেই বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছেন উপাচার্য। আমরা এই উদ্যোগে সকলকে পাশে থাকার আহ্বান জানাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy