Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

জলের কষ্ট আর মিটবে কবে

আনন্দবাজারের পাঠকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন গঙ্গাজলঘাটি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জিতেন গড়াই। সঞ্চালনায় ছিলেন রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।হাটতলা কমিটি হাটের জন্য অন্যত্র জমি কিনেছে। পরিকাঠামো গড়তে পঞ্চায়েত সমিতিও সাহায্য করবে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ শুরু করেছে।

শুকনো: সংস্কারের অভাবে এমনই অবস্থা নিত্যানন্দপুর চেকড্যামের। ছবি: অভিজিৎ সিংহ

শুকনো: সংস্কারের অভাবে এমনই অবস্থা নিত্যানন্দপুর চেকড্যামের। ছবি: অভিজিৎ সিংহ

শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৭ ০১:২৪
Share: Save:

ব্লক শহরে হাট বসে রানিগঞ্জ বাঁকুড়া জাতীয় সড়কের উপরে। দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। বৃষ্টিতেও ওই রাস্তার দু’পাশে জল জমে। নিকাশি নালা কবে হবে?

অরূপ মুখোপাধ্যায়, গঙ্গাজলঘাটি

সহ-সভাপতি: হাটতলা কমিটি হাটের জন্য অন্যত্র জমি কিনেছে। পরিকাঠামো গড়তে পঞ্চায়েত সমিতিও সাহায্য করবে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ শুরু করেছে। রাস্তার দু’পাশে পাকা নালার জন্য সড়ক বিভাগে আবেদন করেছি।

নিত্যানন্দপুর এলাকার চেকড্যাম শুকিয়ে যাওয়ায় কয়েকশো বিঘা জমি সেচ পাচ্ছে না। ড্যামে মাছ চাষও বন্ধ হয়ে রয়েছে। প্রায় এক দশক হয়ে গেল, কবে সংস্কার হবে ড্যামটি?

দুঃখহরণ ধীবর, বড়শাল

সহ-সভাপতি: ওই চেকড্যামটি অকেজো হয়ে অনেকে সমস্যায় পড়ছেন। বিধায়ক ও সাংসদ সমস্যার কথা জানেন। বিভিন্ন প্রকল্প থেকে অর্থ বরাদ্দ করতে উদ্যোগী হয়েছেন তাঁরা।

রানিগঞ্জ-বাঁকুড়া সড়কের দুর্লভপুর এলাকায় এমটিপিএসের লেভেল ক্রসিং রয়েছে। দৈনিক প্রায় ১২টি মালগাড়ি এমটিপিএস-এ যাওয়া আসা করে। প্রতিবার দীর্ঘক্ষণ লেভেল ক্রসিং বন্ধ থাকায় যানজট হয়। উড়ালপুল তৈরির করা যায় না?

সংহতি ঢাং, লাগাপাড়া

সহ-সভাপতি: এমটিপিএস কর্তৃপক্ষ ওখানে উড়ালপুল বানাতে উদ্যোগী হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ করে টেন্ডারও ডাকা হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। শীঘ্রই সমস্যা মিটবে।

গরম পড়লেই এলাকার নলকূপগুলি নির্জলা হয়ে যায়। বছরের পর বছর একই কষ্ট চলে আসছে। জল সরবরাহের ব্যবস্থা পঞ্চায়েত সমিতি কি করবে?

তরুণ বাজপেয়ী, লাগাপাড়া

সহ-সভাপতি: গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের বেশির ভাগ এলাকাতেই নলবাহিত পানীয় জল সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে কিছু এলাকা এখনও বাকি রয়েছে। শীঘ্রই ওই গ্রামগুলিতেও জল দেওয়া হবে। দামোদরের জল পরিস্রুত করে সরবরাহ করার যে প্রকল্প শুরু হয়েছে তার থেকে গঙ্গাজলঘাটিতেও জল আনার জন্য প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করছি।

গ্রামে হাতির আক্রমণ নিত্য দিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাঠের ফসল ঘরে তুলতে পারি না। সন্ধ্যায় বেরোতেও ভয় হয়। সমাধান নেই?

সঞ্জয় ঘোষ, বাঁকদহ

সহ-সভাপতি: বন দফতরের উদ্যোগে ‘দল হাতি’ ঢোকা বন্ধ হওয়ায় গত এক বছরে সমস্যা অনেকটাই কমেছে। কিছু স্থানীয় হাতি মাঝে মধ্যেই জঙ্গল সংলগ্ন গ্রামে ঢুকে তান্ডব করে। সেগুলিকে রোখা নিয়ে বনদফতরের সঙ্গে নিয়মিত কথা চলছে।

পর্যটনস্থল হিসেবে গাংদোয়া জলাধারকে তুলে ধরতে পরিকাঠামোর উন্নয়ন করা দরকার। এতে এলাকার অর্থনীতিও মজবুত হবে। কোনও পরিকল্পনা রয়েছে কি?

সত্যপ্রিয় সিংহ, মাড়োয়া

সহ-সভাপতি: সাংসদ কোটার টাকায় গাংদোয়ায় কয়েকটি কটেজ বানানো হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদa টাকা বরাদ্দ করবে বলে জানা গিয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির তরফে সবুজ উদ্যান গড়ার পরিকল্পনা আছে। জলাধারে যাওয়ার রাস্তা পাকা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Water crisis Gangajalghati
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE