প্রতীকী ছবি।
কিডনির রোগে আক্রান্ত মানুষের জন্য এ বার পৌঁছে দেওয়া হবে পানীয় জল।
রামপুরহাট থানার পাইকপাড়া গ্রামে কিডনির সমস্যা দীর্ঘ দিনের। কী ভাবে তা থেকে মুক্তি পাবেন গ্রামের মানুষেরা, তা ঠিক করতে মঙ্গলবার মহকুমাশাসকের দফতরে প্রশাসনিক বৈঠক করেন বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা। আলোচনায় উঠে এল দ্রুত কী ভাবে গ্রামের মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন, সে দিকে নজর দিতে স্বাস্থ্য দফতর ও জন স্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কর্তব্য নিয়েও।
রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ নেই। তাতে চিন্তায় রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান, মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বর্তমানে গ্রামে প্রায় ৪৬ জন কিডনির রোগে ভুগছেন বলে মেনে নিয়েছেন রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পরমার্থ চট্টোপাধ্যায়। আলোচনা থেকে উঠে আসে পানীয় জল ও মাটি পরীক্ষা করাতে হবে। কিডনির ক্ষতি করে যে সব খনিজ পদার্থ জলে কিংবা মাটির সঙ্গে মিশে আছে কি না দেখতে অনুরোধ করেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে। মন্ত্রী বলেন, ‘‘কৃষি দফতরকে দিয়ে মাটি পরীক্ষা করানো হবে।’’
জন স্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের সহকারি ইঞ্জিনিয়ার সুজয় চৌধুরী জানান, আপাতত গ্রামের টিউবয়েলের জলের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। পরিবর্তে দফতরের পাউচ জল, গাড়িতে করে জল পাঠানো হবে। সেই জলে রান্নার কাজ করবেন গ্রামের মানুষেরা। ধাপে ধাপে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহ করা হবে। তারও পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বৈঠকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপ্যাল, হাসপাতাল সুপার, সহ হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা ছিলেন।
এ ছাড়াও ঠিক হয়েছে, গ্রামের মানুষদের সপ্তাহে দু’দিন করে দশ জন করে হাসপাতালে নিয়ে আসবে পঞ্চায়েত সমিতি। তাদের রক্ত পরীক্ষা করে দেখা হবে। রামপুরহাট হাসপাতলে পিপিপি মডেলে ডায়ালিসিস বিভাগ চালু আছে। সেখানে এই গ্রামের মানুষদের বিনামূল্যে ডায়ালেসিস করানো যায় কি না, সেটা দেখতেও অনুরোধ করেন মন্ত্রী। আলোচনার বার বার উঠে আসে কিডনি বিশেষজ্ঞ কোনও ডাক্তারকে মেডিক্যাল কলেজে অন্তত সপ্তাহে দু’দিন করে আনার কথা।
মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এটা আমার নির্বাচনী এলাকায় পড়ে। গ্রামের সঙ্গেও আমার দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক। তবুও আমি এটা জানতাম না।’’ একই সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘স্বাস্থ্য দফতরের আশাকর্মীদের কাছেও কি খবর ছিল না? তাঁদের কাছে খবর থাকলে স্বাস্থ্য দফতর কেন জানত না?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy