পরীক্ষার্থীদের নিতে এল গাড়ি, অযোধ্যার হিলটপে। নিজস্ব চিত্র
বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলার হাতি উপদ্রুত এলাকার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের গাড়িতে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দিল বন দফতর। মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে গিয়ে জলপাইগুড়ি জেলার এক পরীক্ষার্থীর হাতির হানায় মৃত্যুর পরেই এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই রাজ্য প্রশাসনের নির্দেশে পরীক্ষার্থীদের জন্য সতর্কতামূলক নানা ব্যবস্থা নিয়েছে বন দফতর।
রাজ্য প্রশাসনের নির্দেশে মাধ্যমিকের মতো উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদেরও নিরাপদে পরীক্ষাকেন্দ্রে আনাগোনার জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করেছে বন দফতর। বাঁকুড়া উত্তর বন বিভাগে রয়েছে ৭১টি হাতি। সে কারণে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের নিরাপদে পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া, ফেরত নিয়ে আসা নিয়ে তৎপর বন দফতর।
রাজ্যের মুখ্য বনপাল (কেন্দ্রীয় চক্র) কুলান ডেইভাল বলেন, ‘‘ছাত্রছাত্রীদের জন্য ভাড়া করা হয়েছে ৪০টি গাড়ি। পাবোয়া, ডাকাইসিনি, গদারডিহি, সংগ্রামপুর-সহ ২০টি গ্রাম থেকে প্রায় ২০০ পরীক্ষার্থীকে নিয়ে যাতায়াত করছে গাড়িগুলি। জঙ্গলের রাস্তায় নজরদারিতে মোতায়েন রয়েছেন প্রায় ২০০ হুলা কর্মী, গজমিত্র ও বন দফতরের কর্মী-আধিকারিকেরা। তাঁদের জন্য আরও ২০টি গাড়ি ভাড়া করা হয়েছে।’’
বন দফতর জানিয়েছে, বর্তমানে ঝালদার খামারের জঙ্গলে হাতির বড় দল রয়েছে। বিক্ষিপ্ত ভাবে দলছুটেরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অযোধ্যা এবং কোটশিলার জঙ্গলে। তাই কোনও ভাবেই ঝুঁকির পথে যেতে চাইছে না বন দফতর। খামার গ্রামের জয়ন্তী সিং মুড়া, ডাকাইয়ের ভারতী গোপ বলেন, ‘‘কাছেই হাতির দল রয়েছে। ভয় তো থাকবেই। তবে বন বিভাগের গাড়িতে করেই আমরা পরীক্ষাকেন্দ্রে আসা-যাওয়া করেছি। বনকর্মীরাও আমাদের সঙ্গে রয়েছেন।’’
পুরুলিয়ার এডিএফও অভিষেক চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘ঐরাবত’ মিলিয়ে তাঁরা মোট ১৫টি গাড়ির ব্যবস্থা করেছেন। পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে বন কর্মীরাও থাকছেন। ১৬টি ‘ড্রপগেট’ তৈরি করা হয়েছে। নজরদারির পাশাপাশি মাইকে প্রচারেও জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বন দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy