সক্রিয়তা: ঝালদা। নিজস্ব চিত্র
‘লকডাউন’ চলছে। কিন্তু দেখে বোঝার উপায় নেই। ব্যাঙ্কের দরজায় গ্রাহকদের ভিড়। পাশেই গাছের ছায়ায় ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়িয়ে অনেকে। অফিস যাওয়ার পথে মঙ্গলবার বেলায় রাস্তায় ভিড় দেখে গাড়ি থামাতে বাধ্য হলেন এসডিপিও (মানবাজার) আফজল আবরার। তার পরে নিজেই নেমে পড়েলেন রাস্তা ফাঁকা করতে। ‘লকডাউন’ উপেক্ষা করার এমনই টুকরো টুকরো বহু ছবি দেখা গেল পুরুলিয়ার মানবাজারে।
ব্যাঙ্ক মোড়ের অদূরেই থানা। পুলিশের নাকের ডগায় মানুষের ভিড় দেখে ‘লকডাউন’ কার্যকর করার ক্ষেত্রে প্রশাসনের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠেছে। এসডিপিও-কে রাস্তায় নেমে ভিড় সামলাতে দেখে ছুটে এসেছিলেন অন্য পুলিশ আধিকারিকেরা।
এসডিপিও বলেন, ‘‘লাইনে দাঁড়িয়ে কেউ দুরত্ব বজায় রাখছেন না। সবাই ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। করোনা ঠেকাতে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কেউ সেটা মনে রাখছেন না।’’ ব্যাঙ্কের ঠিক উল্টো দিকে তখনও জটলা ছিল। এসডিপিও-কে রাস্তায় নামতে দেখে ভিড় সরাতে তৎপর হলেন অন্য পুলিশকর্মীরা। পরে ব্যাঙ্ক মোড়, পোস্ট অফিস মোড় ঘুরে পুলিশকর্মীরা বাজারের চৌমাথায় দিয়ে দেখেন, ফল ও ওষুধের দোকানে ভিড় করে দাঁড়িয়ে আছেন অনেকে। সামাজিক দূরত্ব বুঝিয়ে দিয়ে তাঁদের লাইনে দাঁড় করিয়ে দিলেন পুলিশকর্মীরা।
কাছেই দাসপাড়া এলাকায় একটি দোকানে বেচাকেনা চলছিল চুটিয়ে। পুলিশকে আসতে দেখেই দোকানদার ঝাঁপ নামিয়ে দেন। দোকানের বারান্দায় দাঁড়িয়ে খোশগল্প করছিলেন কয়েকজন যুবক। পুলিশকর্মীরা তাড়া করতেই দৌড়ে পালান তাঁরা। ইন্দকুড়ি এলাকায় একটি ব্যাঙ্কের কার্যালয়ের সামনে ভিড় চোখে পড়েছে এ দিন।
মানবাজারের চৌমাথা এলাকার যুবকদের একাংশ সম্প্রতি স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ‘লকডাউন’ না মানার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন পুলিশের কাছে।
পথে ভিড় করা জনতা এবং ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে পুলিশকর্মীদের বলতে শোনা যায়, ‘‘বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া, রাস্তায় বার হবেন না।’’ ওষুধ এবং ফলের দোকানদারদের পুলিশের নির্দেশ, ‘‘খরিদ্দারদের নিরাপদ দূরত্ব মেনে লাইনে দাঁড়াতে বলুন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy