প্রাথমিক বাধা কাটিয়ে ফেব্রুয়ারিতে মহম্মদবাজারে প্রস্তাবিত ডেউচা পাঁচামিতে কয়লা খনি গড়ার কাজ শুরু হয়েছে। এখন খননের কাজ চলছে। মঙ্গলবার ফের সেই প্রকল্পের কাজে বাধা পড়ল। অভিযোগ, প্রকল্প এলাকায় থাকা সাগরবান্দি গ্রামের কিছু আদিবাসী মহিলা এ দিন দুপুরের পরে সেখানে পৌঁছে কাজ বন্ধ করিয়ে দেন। প্রশাসন সূত্রে খবর, কী দাবিতে কাজ বন্ধ করা হয়েছে সেটা স্পষ্ট করতে চান নি তাঁরা। প্রশাসন সূত্রে খবর, সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যারের নির্দেশ সাত ফেব্রুয়ারি মহম্মদবাজারে প্রস্তাবিত ডেউচা পাঁচামিতে খনি গড়ার কাজ শুরু করে প্রশাসন। প্রাথমিক ভাবে চাঁদা মৌজায় সরকারি জমিতে কয়লা ভান্ডারের উপরে মজুত কালোপাথর (ব্ল্যাকস্টোন) উত্তোলনের কাজ শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু প্রথম দিনই স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল প্রশাসনকে।
তখন স্থানীয়েরা জানিয়েছিলেন, তাঁদের জমির নথি-সহ নবীকরণ-সহ বেশ কিছু দাবি রয়েছে। বার বার আলোচনা হয়। জেলা প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকেরা ছাড়াও সে আলোচনায় যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের জেলা অনুব্রত মণ্ডল। আলোচনার পরে জেলা ও ব্লক প্রশাসন গ্রামে গ্রামে শিবির করে সে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করে। প্রাথমিক বাধা কাটিয়ে পুরোদমে কাজ চলছিল। এর পরে এ দিন কেন বাধা পড়ল তা স্পষ্ট নয় বলে সূত্রের খবর।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। তাঁদের এক জন জানিয়েছেন, একটা ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটে যাবে।
পরচা বিলি
মহম্মদবাজার: ডেউচা পাঁচামি প্রকল্পের খননের পাশাপাশি মহম্মদবাজারের প্রকল্প এলাকার সোঁতসাল ও সাগরবাঁধি গ্রামে শিবির থেকে উঠে আসা জমির সমস্যা মিটিয়ে মঙ্গলবার জমিদাতাদের হাতে পরচা তুলে দিল জেলা প্রশাসন। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক বিধান রায়, ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক নবীন বিশ্বাস-সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা। এদিন ১৭৯ জন গ্রামবাসীকে জমির পরচা দেওয়া হয়। দীর্ঘদিনের সমস্যা মিটিয়ে পরচা পেয়ে খুশি জমির মালিকেরা। নবীন বিশ্বাস বলেন, “প্রস্তাবিত শিল্পাঞ্চল এলাকার প্রথম পর্যায়ের কাজের পাশাপাশি এলাকার জমির সমস্যা মিটিয়ে জমির মালিকদের হাতে পরচা তুলে দেওয়া হচ্ছে। এর আগেও বহু জমিদাতার হাতে পরচা তুলে দেওয়া হয়েছে। এদিনও জেলাশাসকের উপস্থিতিতে ১৭৯ জন জমির মালিকদের হাতে পরচা তুলে দেওয়া হল। এই পরচা পেয়ে খুশি সকলেই।”
আর্বিভাব উৎসব
নলহাটি: নলহাটি থানার নবহিমাইতপুরে ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের ১৩৭তম আবির্ভাব তিথি পালিত হল মঙ্গলবার। বুধবার পর্যন্ত এই উৎসব চলবে। মঙ্গলবার সকালে ১৩৭টি কলস ঘট-সহ বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে উৎসবের সূচনা হয়। দুপুরে অন্ন ভোগ বিতরণ করা হয়। অনেকে এই উৎসবে যোগ দিতে আসেন।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)