মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো বোলপুরের শিবপুরে আন্তর্জাতিক মানের বাস টার্মিনাস গড়তে উদ্যোগী হল প্রশাসন। বিশ্ব বাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০ বিঘা জমিতে তৈরি হবে ওই বাস টার্মিনাস। ইতিমধ্যেই জমি চিহ্নিত করে পরিকল্পনা তৈরি হয়ে গিয়েছে। জেলা প্রশাসনের তৈরি নকশাটি রাজ্য পরিবহণ দফতরে পাঠানো হয়েছে। যদিও এই মর্মে বোলপুর মহকুমা প্রশাসনিক ভবনে আগেই একটি বৈঠক হয়েছিল। পরে থমকে ছিল সেই কাজ। প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ফের দ্রুত গতিতে এই কাজে হাত লাগাল প্রশাসন।
সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরীর আশা, ‘‘এই বাস টার্মিনাসটি তৈরি হলে শহরের পরিবহণের ছবিটাই পাল্টে যাবে। অনেক মানুষের রোজগারের পথ খুলে যাবে। বহু পর্যটক সহজেই আসতে পারবেন বোলপুরে।’’
বোলপুরে যানজট এড়াতে শহরের বাইরে এই টার্মিনাস গড়ার পরিকল্পনা হয়েছে। টার্মিনাস থেকে শহরে যাতায়াতের জন্য পর্যাপ্ত টাউন সার্ভিস বাসের ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে। তবে জায়গা দেখার পর এই কাজ থমকে ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরে নড়েচড়ে বসেন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। দ্রুত নকশা করে পাঠানো হয় রাজ্য পরিবহণ দফতরে। জানা গিয়েছে, পরিবহণ সচিব বিশ্বজিৎ দত্তের তত্ত্বাবধানে তৈরি হবে টার্মিনাসটি। থাকবে রাত্রিকালীন বাসের জন্য যাত্রী প্রতীক্ষালয়, ই-টয়লেট, ভ্রাম্যমান শৌচালয়, শপিং মল প্রভৃতি। এই বাস টার্মিনাস থেকে রাজ্যের প্রতিটি জেলার মূল শহরগুলি ও কলকাতা যাওয়ার বাস পাওয়া যাবে। অন্য রাজ্য যাওয়ার বাসও ছাড়বে এখান থেকে। পরে নেপাল ও বাংলাদেশের বাস ছাড়ার পরিকল্পনাও রয়েছে। কাজ শেষের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে দু’বছর।
২২ মে বোলপুর গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে আন্তর্জাতিক মানের বাস টার্মিনাসের কাজ কত দূর জানতে চেয়ে কিছুটা অসন্তোষ জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই দ্রুত এই কাজ শুরুর নির্দেশ দেন তিনি। শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে রায়পুর-সুপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ভবনের বিপরীতে চন্দনপুর মৌজায় ওই টার্মিনাস গড়ে তোলা হবে।
বিশ্ব বাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ৩০ বিঘা জায়গাও টার্মিনাসের জন্য চিহ্নিত হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy