Advertisement
E-Paper

অভিযোগে নেতাকর্মীর নাম নেই,স্বস্তি তৃণমূলে

দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ, তৃণমূলের আবুল কালাম খুনে অভিযুক্ত দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার সকালে সদাইপুর থানা এলাকার সাহাপুর গ্রাম থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শেখ বাবুল ও শেখ গিয়াস নামে ওই দুই অভিযুক্তকে আটকে রেখে পুলিশ খবর দেন এলাকাবাসীর একাংশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:১২

দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ, তৃণমূলের আবুল কালাম খুনে অভিযুক্ত দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার সকালে সদাইপুর থানা এলাকার সাহাপুর গ্রাম থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শেখ বাবুল ও শেখ গিয়াস নামে ওই দুই অভিযুক্তকে আটকে রেখে পুলিশ খবর দেন এলাকাবাসীর একাংশ। খবর পেয়ে এলাকায় যায় সদাইপুর ও দুবরাজপুর থানার পুলিশ। ধৃতেরা অবশ্য নিজেদের নির্দোষ বলেই দাবি করছেন। আজ সোমবার ধৃতদের দুবরাজপুর আদালতে তোলা হবে।

অন্য দিকে, নিজেদের দলের নেতা-কর্মীদের নাম না জড়ানোয় কিছুটা স্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের দুবরাজপুর ব্লক সভাপতি ভোলা মিত্র বলছেন, “গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে যে প্রচার চলছে সেটা ভিত্তিহীন।”

শুক্রবার দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতি থেকে মোটরবাইকে করে সাহাপুরে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। নিরাময় যক্ষা হাসপাতালের কাছাকাছি দুষ্কৃতীরা তাঁকে গুলি করে পালায়। মারাত্মক জখম অবস্থায় সিউড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই মৃত্যু হয় কালামের। দাপুটে ওই নেতা খুনে বিরোধী রাজনৈতিক দলের হাত, ব্যক্তি আক্রোশ, না কি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এই নিয়ে আলোচনা চললেও পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে শনিবার দুপুরে দুবরাজপুর থানায় করা লিখিত অভিযোগে নিহত নেতার দাদা শেখ ফজল জানিয়েছেন, তাঁর ভাই বাইকে একা যাচ্ছিলেন ঠিকই, কিন্তু সামান্য সময়ের ব্যবধানে ওই রাস্তা ধরে শেখ মুস্তফা নামে এক আত্মীয়ের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন তিনিও। ঘটনার খুব অল্প সময়ের মধ্যে এলাকায় পৌঁছে দেখেন ১০-১১ জন লোক তাঁর ভাইকে গুলি করে চারটি বাইকে পালাচ্ছে। মধ্যে ছয় জনকে চিনতে পেরেছেন তাঁরা জানিয়েছেন। ধৃতেরা অভিযুক্তদের অন্যতম। ফজল জানিয়েছেন, সকলেই এই গ্রামের বাসিন্দা। বাকিদের মাথায় হেলমেট থাকায় চেনা যায়নি। শেখ বাবুল ও শেখ গিয়াস ছাড়া বাকি চিহ্নিতদের নাম শেখ সহরাব, শেখ মফি, শেখ কবীর, শেখ আনার। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, অভিযুক্তদের মধ্যে ষাটের কোটায় থাকা শেখ সহরাব সাহাপুর পঞ্চায়েতের নির্বাচিত নির্দল সদস্য। তাঁর সঙ্গে কালমের বিরোধ দীর্ঘদিনের।

পুলিশের দাবি, লিখিত অভিযোগ যাই হোক না কেন, ঘটনার সময় অভিযোগকরী ঘটনাস্থলের খুব কাছাকাছি ছিলেন না। তবে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরে নিজের মোবাইলে ভয়েস রেকর্ড করে আবুল কালাম কয়েক জনের নাম বা হামলাকারীদের সম্পর্কে কিছু কথা বলে গিয়েছেন। সেটা তদন্তের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে পারে বলেই মনে করছে পুলিশ।

tmc sadaipur
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy