এক জায়গায় হেলিপ্যাডের বাঁশের ব্যারিকেড ভিড়ের চাপে মড়মড় করছিল। অন্য জায়গায় হেলিকপ্টারে আসা সেই নেতার সভায় ভিড় তেমন জমল না। শুক্রবার বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহের সভায় দু’রকমের ছবি দেখা গেল রানিবাঁধ ও পুরুলিয়ায়।
দুপুর ১টায় রাহুলবাবুর হেলিকপ্টার নামে রানিবাঁধে। প্রচণ্ড দাবদাহ উপেক্ষা করেই হেলিকপ্টার দেখতে সাধারণ মানুষের ভিড় উপছে পড়ে। কিন্তু ততটা ভিড় নজরে পড়েনি সভায়। তবে দক্ষিণ বাঁকুড়ায় বিজেপি-র সভায় সেই ভিড়ও মন্দ নয় বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। রাহুলবাবু দাবি করেন, “জঙ্গলমহল হাসছে বলে মুখ্যমন্ত্রীর প্রচার আসলে ঢক্কা নিনাদ। আদিবাসীদের কোনও উন্নয়নই হয়নি। এলাকায় আগে যারা সিপিএমের হয়ে গুন্ডামি করত, তারা এখন দল বদল করেছে।” চড়া রোদ উপেক্ষা করে মানুষের ভিড় দেখে আপ্লুত বিজেপি-র রাজ্য সহ-সভাপতি তথা বাঁকুড়া কেন্দ্রের প্রার্থী সুভাষ সরকার। তিনি দাবি করেন, “এত মানুষের ভিড়ই প্রমাণ করে দিচ্ছে আমরা জিতব। জঙ্গলমহলও বিজেপি-কেই চাইছে।”
তবে গরমের মধ্যে পুরুলিয়া শহরে বিজেপি-র সভার অবস্থা দেখে কিছুটা মনমরা দলের কর্মীরা। পুরুলিয়া শহরের কেন্দ্রস্থলে রাসমেলা মাঠে এ দিন প্রায় ফাঁকা মাঠেই সভা করে গেলেন রাহুলবাবু। বেলা ১টায় সভা হওয়ার কথা থাকলেও গরমের কথা ভেবে পরে সভা ঘণ্টা খানেক পিছিয়েও দেওয়া হয়। কিন্তু বেলা আড়াইটার পরে মাঠে গিয়ে দেখা যায় প্রায় ফাঁকা মাঠে বক্তব্য রাখছেন জেলা নেতৃত্ব। বিজেপি-র এক জেলা নেতা দাবি করেন, “এই প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোকজন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে।” কিন্তু বিকেল পৌনে ৪টে নাগাদ রাহুল যখন মঞ্চে উঠলেন তখনও মাঠ প্রায় ফাঁকাই। ব্যারিকেডের সামনে যে গুটিকয়েক লোকজন বসেছিলেন তাঁরা দূরে ছায়ায় থাকা কর্মী-সমর্থকদের হাত নেড়ে ডাকেন। এখানেও রাহুলবাবু তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেন।
সভায় লোক কম কেন? রাহুলবাবুর প্রতিক্রিয়া, “বিকাশবাবুকে (দলের পুরুলিয়া কেন্দ্রের প্রার্থী বিকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়) জিজ্ঞাসা করুন।” বলেই তিনি গাড়িতে উঠে যান। এক নেতা বলেন, “কী বলবো, রাজ্য যে রকম কর্মসূচি দেবে তাই নিতে হবে। সকালে বা সন্ধ্যায় সভা হলে মাঠ ভরিয়ে দিতাম।” পরে বিকাশবাবু বলেন, “এই প্রচণ্ড গরমে দূরের কর্মী-সমর্থকেরা আসতে পারেননি। যাঁরা এসেছিলেন, তাঁরাও অনেকে দূরে ছড়িয়ে ছিলেন।”