দেহ মেলে এখানেই।—নিজস্ব চিত্র।
ন’দিন নিখোঁজ থাকার পরে ডিভিসি-র ব্যারাজ থেকে উদ্ধার হল এক কলেজছাত্রীর দেহ। শুক্রবার সকালে কয়েক জন যুবক দেহটি দেখতে পান। বড়জোড়া থানার পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম ঋতুপর্ণা দে (২১)। বাড়ি সোনামুখীর রতনগঞ্জ এলাকার। সোনামুখী কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের এই ছাত্রীর মৃতদেহ ময়না-তদন্তের জন্য বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ দিন সকালে দুর্গাপুরের দিকে দামোদরের ব্যারাজ থেকে বেরোনো একটি ক্যানালে দেহটি উদ্ধার হয়। স্থানীয় কিছু যুবক ওই ক্যানালে স্নান করতে নেমে কচুরিপানার মধ্যে দেহটি ভাসতে দেখেন। তাঁরাই বড়জোড়া থানায় খবর দেন। মৃতার পরনে ছিল জিন্স, টপ, সোয়েটার, পায়ে স্লিপার।
পুলিশ ও মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ঋতুপর্ণা কিছু দিন দুর্গাপুরের একটি কল সেন্টারে কাজ করেন। পরে চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দুর্গাপুর যাওয়ার জন্য একাই বাড়ি থেকে বেরোন ঋতুপর্ণা। তার পর থেকে তাঁর কোনও খোঁজ পাননি বাড়ির লোকজন। সোনামুখী থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করেন তাঁরা। পুলিশ জানতে পেরেছে, ১৯ তারিখ বিকেলে তরুণীর মোবাইল থেকে শেষ বার একটি এসএমএস করা হয়েছিল। তার পর থেকে তাঁর মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন দুর্গাপুরই দেখিয়েছে। ঋতুপর্ণাকে খুঁজতে দিন কয়েক আগে দুর্গাপুরে যান তাঁর কয়েক জন সহপাঠীও। এ দিন সকালে দেহ উদ্ধারের পরে বড়জোড়ার পুলিশ তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। মৃতার বাবা প্রবীর দে থানায় গিয়ে দেহ শনাক্ত করেন। তিনি বলেন, “কী ভাবে এমন ঘটল বুঝতে পারছি না।” বড়জোড়ার পুলিশ জানায়, প্রাথমিক ভাবে মৃতদেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে, এটি আত্মহত্যার ঘটনা না অন্য কিছু, তা ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই বোঝা যাবে বলে বাঁকুড়ার এক পুলিশকর্তা জানান। রাত পর্যন্ত মৃতার পরিবার অভিযোগ দায়ের করেনি। ওই পুলিশকর্তা বলেন, “মৃতদেহ দেখে মনে করা হচ্ছে, দু’তিন দিন ধরে দেহটি জলে পড়েছিল। ব্যারাজের উপরের কোনও জায়গা থেকে দেহটি ক্যানালে ঢুকে পড়েছিল বলে আমাদের অনুমান।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy