ছৌনাচ দেখে ফেরার পথে তরুণীকে ধর্ষণ

মেলা দেখে বাড়ি ফেরার পথে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বাঁকুড়ার হিড়বাঁধ থানার শ্যামনগর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণের মামলা রুজু হয়েছে। হিড়বাঁধ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। তবে অভিযুক্তকে শনাক্ত করা যায়নি। তাকে চিহ্নিত করে ধরার চেষ্টা চলছে। পুলিশ সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবার রাতে পাশের গ্রাম শ্যামনগরে ছৌ-নাচ দেখে গভীর রাতে এক বান্ধবীর সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন বছর ১৯-এর ওই তরুণী। ওই বান্ধবীর বাড়ি থেকে বেরনোর পরে এক যুবক তাঁর পিছু নেয়। তার পর তাঁকে নির্জন জায়গায় টেনে নিয়ে যায়। সেই সময় ওই তরুণী বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে ওই যুবক তাঁর মুখ গামছা দিয়ে জড়িয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে। তরুণীটি বাড়ি ফিরে পরিবারের লোকজনকে সব জানান। শনিবার তাঁর বাবা থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগে অবশ্য কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। তবে অন্ধকারে মেয়েটি অভিযুক্তকে চিনতে পারেনি বলে জানিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শ্যামনগর গ্রামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে।”

অন্য দিকে, বরাবাজারের ভাগাবাঁধ অঞ্চলের গ্রামের এক তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনার তিন দিনের মাথায় ধরা পড়ল অভিযুক্ত যুবক তপন পরামানিক। রবিবার দুপুরে বান্দোয়ান-ঝাড়খণ্ড সীমানা অঞ্চল থেকে তাকে গ্রেফতার করে বরাবাজার থানার পুলিশ। আজ, সোমবার ধৃতকে পুরুলিয়া আদালতে তোলা হবে। ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করার উদ্দেশ্যে কুয়োয় ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। ২৯ মে রাতে ওই তরুণীর বাবা বরাবাজার থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, ওই দিন দুপুর থেকে তাঁর মেয়ের খোঁজ মিলছিল না। সন্ধ্যায় গ্রামের প্রান্তে পরিত্যক্ত কুয়োর ভিতর থেকে আর্তনাদ শুনে সবাই ছুটে গিয়ে দেখেন, তাঁর মেয়ে সেখানে পড়ে আছে। কুয়ো থেকে তোলার পরে তরুণী সব জানান। পড়শি যুবক তপন তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করে কুয়োয় ঠেলে ফেলে দিয়েছিল বলে তরুণীর বাবা অভিযোগ করেছেন। ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণও মিলেছে। তরুণী বর্তমানে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।