জালিয়াতির অভিযোগে কৃষি বিপণন দফতরের অধীন রামপুরহাট বাজার নিয়ন্ত্রণ সমিতির দুই কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতেরা হলেন কৃষ্ণেন্দু সরকার এবং বিশ্বনাথ সরকার। রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম জাতীয় সড়কের উপর নলহাটি থানার নাকপুর চেকপোস্ট থেকে কর্তব্যরত অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে তাঁদেরকে গ্রেফতার করে ময়ূরেশ্বর থানার পুলিশ। এ দিন রামপুরহাট আদালতে তোলা হয়েছিল। রামপুরহাট বাজার নিয়ন্ত্রণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা রামপুরহাট মহকুমা শাসক উমাশঙ্কর এস বলেন, “ওই দুই কর্মীর বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ ছিল। সেই কারণে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করেছে।” কৃষি বিপণন দফতরের জেলা আধিকারিক মহম্মদ আকবর আলি জানান, বিষয়টা রামপুরহাট বাজার নিয়ন্ত্রণ সমিতির সম্পাদক দেখভাল করছেন। কী হয়েছে তিনিই সেটা ভাল বলতে পারবেন।
জেলা কৃষি বিপণন দফতর সূত্রে জানা যায়, মহকুমা থেকে কোনও কৃষিজাত পণ্য কেউ ক্রয় করলে তাঁকে ক্রয় মূল্যের ১ শতাংশ টাকা কৃষি বিপণন দফতরের অধীন রামপুরহাট বাজার নিয়ন্ত্রণ সমিতিকে সরকারি নিয়ম মেনে দিতে হয়। ওই টাকা আদায় করার জন্য রামপুরহাট মহকুমায় টোল আদায় কেন্দ্র আছে। সেই সমস্ত টোল আদায় কেন্দ্রে রোটেশন করে রামপুরহাট বাজার নিয়ন্ত্রণ সমিতি থেকে কর্মীদের পাঠানো হয়। কৃষ্ণেন্দু সরকার এবং বিশ্বনাথ সরকার ওই দুই কর্মী ১২ বছর ধরে রামপুরহাট বাজার নিয়ন্ত্রণ সমিতিতে কাজ করছেন। রামপুরহাট বাজার নিয়ন্ত্রণ সমিতির সম্পাদক নৃপেন দত্ত বলেন, “ওই দুই কর্মীর কাজকর্মে দীর্ঘদিন থেকে সন্দেহ ছিল। চলতি বছরের ১০ এপ্রিল ময়ূরেশ্বর থানার মল্লারপুর চেক পোস্টে ওই দুই কর্মী অফিস কপিতে একটি রশিদে আদায়কৃত টাকার পরিমাণ দেখিয়েছেন ২৪০ টাকা। অথচ আদায় করে রশিদ দিয়েছেন ৯,১২০ টাকা। আবার একই মাসে ওই একই জায়গায় কাজ করার সময় ওই দুই কর্মী ২৮ এপ্রিল একটি রশিদের অফিস কপিতে আদায় দেখিয়েছেন ২৫০ টাকা। অথচ যিনি পণ্য নিয়েছেন তাঁর কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে ৮,৩১০ টাকা।” হিসেবে জালিয়াতির অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে রামপুরহাট মহকুমাশাসকের নির্দেশে ময়ূরেশ্বর থানায় ৫ জুলাই অভিযোগ দায়ের করেন নৃপেন দত্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy