পুলিশকে টাকা নিতে চাপ দিচ্ছেন অবরোধকারীরা।—নিজস্ব চিত্র।
রাতে গাড়ি থামিয়ে চালকদের কাছ থেকে জোর করে তোলা আদায়ের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে ছিলই। কিন্তু দাবি মতো তোলা না দিতে পারলে মারধর করবে পুলিশ সেটা আর মানতে পারেননি গাড়ি চালকেরা। প্রতিবাদে পুলিশের মারে জখম এক গাড়ি চালককে রাস্থায় শুইয়ে রেখে দীর্ঘক্ষণ জাতীয় সড়ক অবরোধ করল চালকেরা। বৃহস্পতিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে, সদাইপুর থানা এলাকার বাঁধেরশোল ও চিনপাইয়ের মাঝামাঝি থাকা বক্রেশ্বর নদের সেতুর কাছে ৬০ নম্বর জাতায় সড়কে।
অবরোধকারী গাড়ি চালকদের অভিযোগ, প্রতিদিনই রাতে গাড়ি থামিয়ে টাকা আদায় করে পুলিশ। এ দিনও রাতে দাঁড়িয়ে ছিল। মালদহ থেকে ওই রাস্তা ধরে দুর্গাপুরে আম নিয়ে যাওয়ার পথে প্রসন্ন মণ্ডলের কাছে টহলদারি ভ্যানের এক পুলিশ কর্মী ১০০টাকা দাবি করেন। প্রসন্নবাবু সে টাকা না দিতে চাওয়ায় তাঁকে বেধড়ক মারধর করে পুলিশ বলে অভিযোগ। এর পরেই সুবিচার চেয়ে পথ অবরোধ করেন ওই রাস্থায় দিয়ে যাতায়াতকারী গাড়ির বেশ কিছু চালক। তাঁরা পুলিশের ভ্যানটিকেও আটকে রাখেন। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীর সঙ্গে বচসা বেধে যায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন সাদাইপুর থানার ওসি ও অন্য পুলিশকর্মীরা। কিন্তু তাতেও ক্ষোভ কমেনি। অবরোধকারীরা দাবি করতে থাকেন, পুলিশ কর্তারা ঘটনাস্থলে এসে সমাধান সূত্র না দিলে অবরোধ চলবে। প্রকাশ্যে পুলিশকে ১০০টাকা নিতে হবে বলেও জোর করতে থাকেন অনেকে। ভোর তিনটে থেকে প্রায় ঘণ্টা চারেক এভাবে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হওয়ার ফলে ওই সেতুর দু’দিকে প্রায় সাড়ে তিন কিমি পর্যন্ত দীর্ঘ যানযট তৈরি হয়। সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ। পরে পুলিশ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে, এমন আর না হওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়। জেলা পুলিশ সুপার আলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, “তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অবোরধে সামিল, মহম্মদ নঈম, সঞ্জীব মণ্ডল, স্বপন চৌধুরীরা বলেন, “প্রতিদিনের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে নিস্তার চাই। এ দিনের পর যাতে আর গাড়ি চালকদের সমস্যায় না পড়তে না হয়, তার ব্যবস্থা করুক পুলিশ।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy