সেতু পরিদর্শনে রেল কর্তারা। মঙ্গলবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
অবশেষে সাঁইথিয়ার রেল সেতু নিয়ে নড়ে চড়ে বসল রেল দফতর। মঙ্গলবার রেলের ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার দীপঙ্কর দাসগুপ্ত সহ বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিক সার্ভে করলেন রেল সেতুটি। এ দিন রাজ্য পূর্ত দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ও হাইওয়ে ডিভিসনের(১) এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অজত কুমার সিংহ সহ অন্যান্য আধিকারিকেরাও সেতুটি ঘুরে দেখেন। ছিলেন সাঁইথিয়ার বিডিও জাহিদ সাহুদ, বিদায়ী পুরপ্রধান বিপ্লব দত্ত সহ শহরের বহু মানুষজন।
সাঁইথিয়া রেল সেতু সম্প্রসারণের দাবি নতুন নয়। বহু দিন স্থানীয় মানুষ ও যানবাহন চালকেরা সেতুটির সম্প্রসারণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। অবশেষে মঙ্গলবার সেই দাবি পূরণের প্রথম কাজ শুরু হল। এ দিন সেতুটি কোন দিকে বাড়ানো যেতে পারে, তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে এক প্রস্থ আলোচনা সেরে নেন রেলের কর্তা ব্যক্তিরা। আলোচনা শেষে রেল ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক ভাবে জানিয়ে দেয়, সেতুর উত্তর দিক অথাত্ পূর্ব পশ্চিমে চলে যাওয়ার রাস্তা বা সেতুর উত্তর দিকেই সম্প্রসারণ করা হতে পারে। দু’ পাশের ফুটপাত সহ সেতুটি ১২ থেকে ১৫ মিটার চওড়া এবং অনেকটা উঁচু করা হবে। কিন্তু এত ঘন বসতির মধ্যে সেতু সম্প্রসারণ কি সম্ভব? তা নিয়ে এ দিন উপস্থিত সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের মধ্যেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তাঁদের কথায়, সেতুর দু’ পাশের রাস্তা থেকে কয়েকটি রাস্তা বেরিয়েছে। সেতু সম্প্রসারণ ও উঁচু হওয়ার ফলে কার্যত ওই রাস্তা গুলির সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত করা যাবে না সেতু ও সেতুর দু’পাশের মেন রোডের সঙ্গে। রেল, রাজ্য পূর্ত দফতর ও হাইওয়ে ডিভিসনের আধিকারিকেরা সমাধান সূত্রের জন্য নিজেদের ম্যাপ সহ আরেক দফা আলোচনা করেন। শেষে রেলের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, দিন কুড়ির মধ্যেই সার্ভে শুরু হবে।
রেল কর্তাদের হাতের কাছে পেয়ে স্থানীয়রা সেতুর উপর বিপজ্জনক ভাবে লোহার পাতের রেলিং-এর একাংশ বেরিয়ে আছে, সেটির মেরামতি ও স্টেশনের ফুট ব্রিজগুলি ঠিক ভাবে নির্মাণের দাবি জানান। পাশাপাশি দক্ষিণ দিকে আর একটি ফুট ব্রিজ ও একটি টিকিট কাউন্টারেরও দাবি করেন বাসিন্দারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy